রাজশাহী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ই আশ্বিন ১৪৩১


অবশেষে ত্রাণ পেলেন মিরপুরের বিহারিরা


প্রকাশিত:
২২ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৪২

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:২৯

 

কড়া লকডাউনে মহাসড়কে অবরোধ ও বিক্ষোভের পর অবশেষে ত্রাণ পেলেন বিহারিরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকা-১৬ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক বিহারি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে ত্রাণ হস্তান্তর করেন।
জানা যায়, নগরীর পল্লবী এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৯টি বিহারি ক্যাম্প রয়েছে। এসব ক্যাম্পে প্রায় ৭০ হাজার লোক বসবাস করেন। ত্রাণের দাবিতে ক্যাম্পের বাসিন্দারা গত এক সপ্তাহ ধরে ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে মিরপুর ১০, ১১ ও ১২ নম্বর এলাকার কয়েকটি ক্যাম্প থেকে ১০ নম্বর গোলচত্বর ও মিরপুর ১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের মূলসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিহারিরা। এ নিয়ে পর পর দুদিন যুগান্তর অনলাইনে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঢাকা-১৬ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক ওই দিন গভীর রাতে বিহারি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে ত্রাণ হস্তান্তর করেন।
তাদের মাধ্যমে ক্যাম্পবাসীর মধ্যে রাতেই ত্রাণ পৌঁছে যায়।
এ সময় ১১টি ক্যাম্পে ১২০০ প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করা হয়। স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে এসব ত্রাণসামগ্রী দেয়া হয়।
ডিএনসিসির ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১টায় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা উপস্থিত থেকে ক্যাম্প নেতৃবৃন্দের ত্রাণ বিতরণ করেন। সব ক্যাম্পেই ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হবে। কেউ বাদ যাবে না।
ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা বলেন, আমার আসনের যেসব ক্যাম্প রয়েছে, সবখানেই পর্যাপ্ত ত্রাণ দেয়া হয়েছে। সরকারিভাবে যেসব ত্রাণ এসেছে, তার পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগেও ক্যাম্পে ত্রাণ দেয়া হয়েছে।
তার পরও তারা রাস্তায় নেমে আসে। যারা আন্দোলনে নেমেছে, তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ খাবার পেয়েছে। হয়তো কেউ ইন্ধন দিচ্ছে। ত্রাণের জন্য আমি হটলাইন নম্বর চালু করেছি। যে কেউ হটলাইন নম্বরে এসএমএস করলে বাসায় ত্রাণ পৌঁছে যায়। আমার এলাকায় একটি দিনও কেউ না খেয়ে থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রীর বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে। এ ভাণ্ডারে খাবারের কোনো অভাব নেই; আর অভাব হবে না ইনশাল্লাহ।

 

আরপি/ এআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top