রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


প্রশাসনের নিষেধ না মেনে হলে থাকছে ছাত্রলীগ!


প্রকাশিত:
২২ মার্চ ২০২০ ১৮:০৯

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১৪:৩৮

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করার পরপরই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। কিন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুসারীরা নিষেধ অমান্য করেই থাকছেন আবাসিক হলে। ফলে হলের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর হলের প্রতিটি কক্ষ সিলগালা করা হয়। কিন্তু সব হল শিক্ষার্থীশূন্য হলেও শাহজালাল ও শাহ আমানত হল দখল করে বসে আছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ফলে হল দুটি বন্ধ করতে পারছেন না প্রশাসন।


জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল টিপু সহ তার অনুসারীরা হলেই থাকেন। এদের মধ্যে রুবেল ও তার অনুসারীরা শাহ আমানত হলে এবং টিপু ও তার অনুসারীরা শাহ জালাল হলে অবস্থান করছেন। তবে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা প্রকাশ্যে হলে প্রবেশ করলেও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা রাতের আঁধারে হলের পিছন দিয়ে ঢুকে কক্ষে প্রবেশ করেন।


এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না চাইলেও দুই হলে কর্মরত বেশ কয়েকজন জানান, হল বন্ধ ঘোষণা করলেও এখনও বেশ কয়েকজন হলে থাকেন। তবে দিনের বেলায় তেমন একটা আওয়াজ শোনা যায় না। রাত হলেই তাদের উপস্থিতির শব্দ শোনা যায়।


গত শুক্রবারও সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হল থেকে তারা অনুসারীদের নিয়ে বের হন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।


তবে বিষয়টি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কেউ হলে থাকি না। আমাদের কয়েকজন ছোট ভাই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে এসেছিল। তা নিয়ে আবার চলে গেছে৷
এ ব্যাপারে শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট গোলাম কবির বাংলানিউজকে বলেন, আমার হলে এমন কেউ থাকার সুযোগ নেই। তবে যারা দূরে থাকে- তারা হয়তো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে এসেছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থায়ীভাবে থাকার কোনো সুযোগ নেই।


এদিকে রোববার (২২ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সহ তিনজন সহকারী প্রক্টর হল পরিদর্শনে যান। এসময় শাহজালাল হলে কাউকে পাওয়া না গেলেও শাহ আমানত হলে সভাপতি ও তার অনুসারীদের দেখা গেছে।


এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, হল বন্ধ করার পরও হলে অবৈধভাবে থাকছে অনেকে। শাহ আমানত হলে কয়েকজনকে পাওয়া গেছে। আমরা তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে কক্ষগুলো সিলগালা করছি।

আরপি/ এআর  সুত্র: বাংলা নিউজ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top