রাজশাহী মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


একটি ভোট পরলেও নির্বাচন অংশগ্রহনমূলক হয়েছে : ইসি সচিব


প্রকাশিত:
২২ মার্চ ২০২০ ০৩:৪২

আপডেট:
২২ মার্চ ২০২০ ০৩:৪৩

ছবি: সংগৃহীত

একটি ভোট পড়লেও নির্বাচন কমিশন ধরে নেবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।

শনিবার (২১ মার্চ) বিকেলে নির্বাচন ভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ উপনির্বাচন স্থগিত এবং ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসন উপনির্বাচনের পর্যালোচনা তুলে ধরে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ইসি সচিব জানান, দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকা-১০ আসনে ৫ শতাংশ, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের নির্বাচনে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

তিনি বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক বলতে কী বোঝানো হয় জানি না। যারা প্রার্থী তারা যদি অংশগ্রহণ করেন, তাহলেই অংশগ্রহণমূলক। ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন কী-না, সেটা ভোটারদের বিষয়। ভোটারদের বাধ্য করা যাবে না। কোনো আইনেও নেই, বিধানেও নেই। ভোটার তার স্বাধীন ইচ্ছায়, স্বেচ্ছায় ভোট দিতে যাবেন। পৃথিবীর অনেক দেশের সংবিধানে আছে যে, এ পরিমাণ ভোট না পড়লে আবার ভোটগ্রহণ করতে হবে। তবে আমাদের সংবিধানের কোথাও বলা নেই যে, এত শতাংশ ভোট না পড়লে নতুন করে ভোট নিতে হবে। অতএব একটি ভোটও যদি হয়, তাহলে আমরা বলব এটি অংশগ্রহণমূলক হয়েছে।’

ঢাকায় দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটা নির্বাচন কমিশনের জন্য বিব্রতকর কী-না? জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মোটেও বিব্রতকর নয়। কারণ এ ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী নয়। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব যেটুকু, সেটুকু সঠিকভাবে পালন করেছে কী-না, সেটা দেখতে হবে।’

যেহেতু ঢাকা-১০ আসনে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। সুতরাং একজন প্রার্থী মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ ভোটে কীভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে পারে? এ বিষয়ে সচিবের মন্তব্য, ‘যেহেতু সংবিধানে নিষেধ নেই। সংবিধানে আছে, যিনি বেশি ভোট পাবেন, তিনি নির্বাচিত হবেন। কিন্তু কত শতাংশ ভোট পেলে নির্বাচিত হবেন, এ ধরনের আইন দেশে নেই। এ ধরনের আইন করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের কাছে নেই। সংসদ সদস্যরা চাইলে করতে পারবেন।’


অন্য কমিশনের আমলে ৮০-৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ কমিশনের আমলে সেটা অনেক কমে গেছে। ইভিএম হলে সেটা আরও কমে যাচ্ছে। ভোটের হার যে কমে যাচ্ছে, এটা কমিশনের প্রতি অনাস্থা কী-না? জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘মোটেও না।’

এই কমিশনের আমলে ব্যালটে ভোট হলে ৬০-৭০ শতাংশ ভোট হয়। কিন্তু ইভিএমে ভোট হলে ১২-১৫ শতাংশ হয়ে যায়। এ বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘এটা কমিশনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। ইভিএমে ভোট দিলে যেহেতু জাল ভোট দেয়ার সুযোগ নেই, সেজন্য ভোট কমে যায়।’

জাল ভোট ঠেকাতে পারছেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনাকে ধরতে হবে। জাল ভোট ধরে যদি কমিশনের কাছে অভিযোগ না করেন বা না ধরিয়ে দেন, জাল হয়েছে কি না, কীভাবে বুঝব। কারণ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তো সবাইকে চেনেন না।’

করোনার মধ্যেও তিন আসনের উপনির্বাচন করার কারণ ব্যাখ্যা করে সচিব বলেন, ‘এ নির্বাচনের প্রায় সব কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। আমাদের এখানে যেদিন একজন ধরা পড়েছিল, পরে তিন-চারজন। এই মুহূর্তে আমাদের পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ ছিল না। যেটুকু স্বাস্থ্য ঝুঁকি ছিল, সেটার জন্য বলা হয়েছিল স্যানিটাইজার দেয়া হয়েছে। আমি নিজে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি দেখেছি, কে ভোট দিতে এসেছেন, কে আসেননি, সেটার চেয়েও যথাযথভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হয়েছে কি না, সেটার দিকে।’

 

আরপি/ এএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top