রাজশাহী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১


আলোচিত রিফাত হত্যা মামলা

মিডিয়ায় কথা না বলার শর্তে মিন্নির জামিন


প্রকাশিত:
৩০ আগস্ট ২০১৯ ০৭:২২

আপডেট:
৩০ আগস্ট ২০১৯ ০৭:২৬

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি
 

তার আইনজীবি জেড আই খান পান্না বলেন, "মিন্নির বয়স, সে একজন নারী, তার সংশ্লিষ্টতা কতটুকু আছে এবং যে পদ্ধতিতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে, যেভাবে মিন্নিকে আদালতে পেশ করার সময় তার পক্ষে যে কোন আইনজীবি ছিলো না, এফআইআর এ তার নাম নেই এবং এ মামলার একমাত্র স্বাক্ষী- এসব বিবেচনায় নিয়ে তাকে মু্ক্তি দেয়া হয়েছে।"

আদালত তার রায়ে বলে, "তদন্ত প্রক্রিয়া যেহেতু শেষের দিকে এবং এ অবস্থায় তদন্ত প্রভাবিত করার কোন সুযোগ নেই, তাই আমরা জামিন মঞ্জুর করলাম।"

মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, "আমরা যে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি তা আইনজীবিরা তুলে ধরতে পেরেছেন। আমরা সুবিচার পেয়েছি। আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।

আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী। তিনিই এই মামলার প্রধান সাক্ষী।

চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যা মামলায় বরগুনার পুলিশ মিন্নিকে গত ১৬ই জুলাই গ্রেফতার দেখায়।

অথচ এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবেই মামলায় নাম ছিল মিন্নির।

এর আগে হত্যা মামলাটির বাদী, নিহত রিফাত শরীফের বাবা, আবদুল হালিম দুলাল শরীফ গত ১৩ই জুলাই এক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, তার পুত্রবধূ (মিন্নি) এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে তিনি সন্দেহ করেন।

গত ২৬শে জুন সকালে বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে জখম করে একদল লোক।

পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ঐ ঘটনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

ভিডিওতে দেখা যায় কয়েকজন অস্ত্রধারী রিফাতকে ধারাল অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে আহত করছে। আর ঘটনাস্থলে উপস্থিত মিন্নি তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করছে। মিন্নি ছাড়া ওইসময় আর কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি ভিডিওতে।

ওই হত্যাকাণ্ডের পরদিন টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। 

সেখানে তিনি বলেছিলেন, "আমি অনেক বাঁচানোর চেষ্টা করছি, অস্ত্রের মুখে পড়ছি, অস্ত্র ধরছি, কিন্তু বাঁচাইতে পারি নাই। আর কেউ আইসা আমারে একটু সাহায্যও করে নাই"।

আশেপাশে অনেক মানুষ ছিল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেছিলেন, "আমি অনেক চিৎকার করছি, সবাইরে বলছি ওরে একটু বাঁচান, কিন্তু কেউ আসে নাই"।

অভিযুক্ত হামলাকারীদের একজন, যিনি এলাকায় 'নয়ন বন্ড' নামে পরিচিতি ছিল, পুলিশ তাকে আটক করে।

পরে, পুলিশের সাথে কথিত 'বন্দুকযুদ্ধে' তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

আরপি/এএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top