রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


এত কর্মসূচি নিয়েছি, বেকার থাকার সুযোগ নেই : প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
৩০ জানুয়ারী ২০২০ ০৯:১৮

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২১:১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি: সংগৃহীত

যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুবকরা বেকার থাকুক সেটা আমরা কখনও চাই না।

তিনি বলেছেন, কর্মসংস্থানের জন্য শিক্ষিত হোক বা অর্ধশিক্ষিত, আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক করেছি; সেখান থেকে যে কোনো যুবক বিনা জামানতে ২ লাখ পর্যন্ত টাকা নিতে পারে। সেটা এককভাবে বা যৌভাবে নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে— সেই সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি। আমরা এত কর্মসূচি নিয়েছি, বেকার থাকার সুযোগ নেই। কেউ যদি ইচ্ছা করে বেকার না থাকে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম (টিটু) ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার পৃথক দুই সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এ সব কথা বলেন।

যুব সমাজের কর্মসংস্থানে নেয়া নানা কর্মসূচি তুলে ধরে সংসদ নেতা বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। সেখানে যুবকদের কর্মসংস্থান হবে। ডিজিটাল সেন্টার করেছি এবং কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি সেখানেও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া আমাদের অনেক উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে সেখানে যে কেউ চাইলে কিছু করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করেছি। আমাদের লক্ষ্য যুবকরা কাজ করবে, সবার কর্মসংস্থানের সুবিধা থাকবে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে যুবকরা নিজেদের ভাগ্য গড়তে পারবে। যুবকদের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, তবে সেটা নির্ভর করে প্রতিটি যুবকের ওপর। তারা কি চাকরির পেছনে ঘুরবে নাকি নিজেরা কিছু কাজ করে অন্য লোকের চাকরি দেয়ার সুযোগ করবে, উদ্যোক্তা হয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে তাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই যেন স্কুলজীবন থেকে নিজেদের ভেতরে প্রতিভা দিয়ে কিছু করতে পারে। নিজে কাজ করবে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে।

সংসদ নেতা বলেন, যুবকরা নিজে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে, সে ধরনের অনেক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করেছি। কেউ যদি ইচ্ছা করে বেকার থাকে... বেকার থাকার কোনো সুযোগ নেই। এত বেশি কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প চলছে সেখানে যে কেউ কিছু করে খেতে পারবে।

মাদকাসক্তদের বিষয়ে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেবেন কিনা? মসিউর রহমান রাঙ্গার এই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মনে হয় অনেক পেছনে পড়ে আছেন। ইতিমধ্যে আমরা ব্যবস্থা নিতে শুরু করে দিয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং এটা চলতেই থাকবে। মাদক একটা পরিবারকে ধ্বংস করে, দেশেরও ক্ষতি হয়। যে সেবন করে সে নিজেরও ক্ষতি করে, এর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি।

আহসানুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, গত ১০ বছরে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৯ লাখ ৬ হাজার ৫৭৪ জন তরুণকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০ বছরে ৪ লাখ ২১ হাজার ৪৪১ জন প্রশিক্ষিত যুব ও যুবমহিলাকে ১ হাজার ২৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ফলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৭৩ জন বেকার যুব ও যুবমহিলা সফল আত্মকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের নানামুখী শ্রম কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবছর গড়ে ৭ থেকে ৮ লাখ কর্মী বিদেশ যাচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার ২৫৪ জনের বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সূত্র:যুগান্তর

 

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top