রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


ভিডিও ফুটেজে দেখলাম বিএনপিপ্রার্থী প্রতিপক্ষের অফিসে লাথি মেরেছেন: কাদের


প্রকাশিত:
২৮ জানুয়ারী ২০২০ ০৪:০৫

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:২৬

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন, রাজধানীর গোপীবাগে নির্বাচনী প্রচারণায় চলাকালে দক্ষিণ সিটির দুই মেয়রপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপিপ্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনেরই দোষ রয়েছে।

তিনি বলেছেন, ভিডিও ফুটেজে দেখলাম বিএনপিপ্রার্থী নিজেই প্রতিপক্ষের অফিসে লাথি মেরেছেন। এখানে দোষ তারই। তারপরও ইসিকে আহ্বান করব ভিডিওফুটেজ বিশ্লেষণ করে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সত্য উদঘাটন করতে।

আজ সোমবার সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেই সংঘর্ষবিষয়ক সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

 

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করা উচিত নির্বাচন কমিশনের। প্রকৃত অপরাধীকে বের করে জাতির সামনে আনা উচিত। এর সঙ্গে যারই জড়িত হোক নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা রাখে।

গতকাল রোববার দুপুরে গোপীবাগে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আধাঘণ্টাব্যাপী চলা ওই সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মতিঝিল থেকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন জনসংযোগ শুরু করেন। দিলকুশা-ইত্তেফাক মোড় হয়ে টিকাটুলি আসার পর সেখানে একটি নির্মাণাধীন ভবনের নীচে নৌকার প্রতীক প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের সমর্থকদের সঙ্গে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। একপর্যায়ে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

মুহূর্তেই লাঠিসোটা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়াপাল্টা-ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাংচুর শুরু হয়। শোনা যায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও। ২৫ মিনিট পর পুলিশের একটি দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মীসহ দুই দলের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের পর ইশরাক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বিএনপির জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন বিনা উসকানিতে হামলা করেছে।

এদিকে আজ সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওয়ার্ড অওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আহমেদ বাদী হয়ে ওয়ারি থানায় মামলাটি করেছিলেন। মামলায় বিএনপির ৪০-৫০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ শতাধিক লোককে আসামি করা হয়।

 

আরপি/এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top