রাজশাহী শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলনকারী রাজাকারদের তালিকা সংরক্ষণের সুপারিশ


প্রকাশিত:
২৬ আগস্ট ২০১৯ ০৮:৩৭

আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০১৯ ০৮:৩৯

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন পাকিস্তান সরকারের বেতনভুক্ত রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কাজ শুরু করেছে।

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

এর আগে গত ২৬ মে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানায়, রাজাকার, আল বদর, আল শামস ও শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা সংগ্রহ করে- তা রক্ষণাবেক্ষণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আধা-সরকারি (ডিও) চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এরপর রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নে সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি দেয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তালিকা প্রস্তুত করা সম্ভব হবে বলে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জানানো হয়।

মে মাসে সংসদীয় কমিটির ওই বৈঠকের কার্যপত্রে দেখা যায়, কমিটির আগের বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অনুবিভাগে সংরক্ষিত রাজাকার, আল বদর, আল শামস ও স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলনকারী রাজাকারদের তালিকা সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সদস্যদের দেশদ্রোহী আখ্যায়িত করে তাদের আসনগুলো অবৈধভাগে শূন্য ঘোষণা করে তাদের স্থলে যাদের সদস্য করা হয়েছিল তাদের নাম স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রস্তুত ও সংরক্ষণে আইন সংশোধনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে ওই কার্যপত্রে দেখা যায়।

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেতনভোগী রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। 

জেলা পর্যায়ে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, ‘জেলায় জেলায় রেকর্ড রুমে রাজাকারদের তালিকা আছে। সেখান থেকে সংগ্রহ করে তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। 

কবে নাগাদ এই তালিকা প্রণয়ন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা ডিসিদের ওপর নির্ভর করছে। তারা যত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে পারে তত ভালো।

 

আরপি/এএস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top