মতিউরের ৪ ফ্ল্যাট ও বিপুল জমি জব্দ, ১১৬টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের আদেশ
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের চারটি ফ্ল্যাট ও ২৩৬৭ শতাংশ জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, তার ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা এবং শেয়ারবাজারে ২৩টি বিও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
ফ্ল্যাট ও জমি ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন। দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মতিউর রহমান দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে নিজ নামে বা অন্যান্য ব্যক্তির নামে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি হুন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ওভারইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার করে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই, অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের ও তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এসব স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
আরপি/জেডএফ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: