রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির


প্রকাশিত:
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৬

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ০৪:২৫

 ছবি:সংগৃহিত

নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, যে এলাকা থেকে ভোট কম দেবেন, সেই এলাকায় আমি কোনো উন্নয়নে হাত দেব না। আমাকে দিবেন, আমি আপনাদের দেব। আমারে এমপি বানাইছেন, আমি তো বলছি, পাঁচ বছর ক্ষমতায় আছি, এখন আমার মনমতো উপজেলা চেয়ারম্যান যদি বানান, আমার মিডলম্যান (মাঝের ব্যক্তি) আমি আপনাদের উপহার দিয়ে গেলাম। ...আমি আজ এখানে এসে দাঁড়িয়ে কথা বলছি। পরে এখানের যেকোনো একটি দোকানে বসে আপনাদের সঙ্গে সুখ-দুঃখের কথা বলব।

মঙ্গলবার সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিউলী একরাম বাজারে তার ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরীর নির্বাচনি এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। পরে বক্তব্যের ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়।

সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টানা তিনবারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে এখানে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ভোটারদের উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কোনো বক্তব্য দেইনি। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে দেওয়া আমার বক্তব্যের কোনো অংশকে কাটাছেঁড়া করে কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে তা প্রচার করছে। এছাড়া আমি ছেলেকে নির্বাচনে প্রার্থী করিনি। আমার ছেলে একজন ব্যবসায়ী। এলাকার জনগণ জোর করে তাকে প্রার্থী করিয়েছে। সে এমনিতেই জিতবে।

এদিকে একরামুল করিম চৌধুরীর ওই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটাররা যে প্রার্থীকে পছন্দ করবেন, তাকে ভোট দেবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার (একরামুল করিম চৌধুরী) মতো একজন ব্যক্তি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভোটারদের এলাকায় উন্নয়ন না করার হুমকি দেওয়া মোটেই সমীচীন নয়। তিনি এসব বক্তব্যের ভিডিওসহ নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম বলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন পার হলেই কাউকে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে গণ্য করা হয়। এর আগে সংসদ সদস্য তার পরিবারের সদস্য হিসেবে তাকে (আতাহার ইশরাক) পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনের পর সংসদ সদস্য নির্বাচনের প্রচারণা করতে পারবেন না।

 

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top