রাজশাহী শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১


সিইসিসহ সব কমিশনারের অপসারণ দাবি টিআইবির


প্রকাশিত:
১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৩১

আপডেট:
৪ মে ২০২৪ ২১:১২

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইসাথে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনারদের আশু অপসারণও দাবি করেন টিআইবি।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্নীতিবিরোধী সংগঠনটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যেভাবে একের পর এক কেলেঙ্কারির জন্ম দিচ্ছে তা অভূতপূর্ব ও গোটা জাতির জন্য বিব্রতকর।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশন সচিবালয় এবং অন্য কমিশনারদের ন্যক্কারজনক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির যে খবর দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা অভূতপূর্ব ও গোটা জাতির জন্য বিব্রতকর। অন্তত একজন কমিশনার একজন নিরাপত্তারক্ষীর নিয়োগের জন্য কমিশন সচিবালয়কে সুপারিশ করেছিলেন বলে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়।

সেই সুপারিশ রক্ষা করা হয়নি বলে কমিশনাররা তোলপাড় করেছেন। সাংবিধানিক পদে থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ যে সরাসরি নৈতিক স্খলন সেটা অনুধাবন করার মতো অবস্থাতেও নির্বাচন কমিশনাররা নেই। অন্যদিকে কমিশন সচিবালয়ের সঙ্গে কমিশনারদের অনাকাঙ্ক্ষিত দ্বন্দ্বের সংবাদ এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাকে পদদলিত করেছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররা এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণের নামে জনগণের করের টাকা হরিলুট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর ধরা পড়ল রোহিঙ্গারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিচ্ছেন অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে, যাতে জড়িত কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এভাবে দেশবাসীর সঙ্গে এমন ভয়াবহ প্রতারণা ও দেশের নিরাপত্তার জন্য চরম ঝুঁকি সৃষ্টি করা হলো। এখন সবাই মিলে লড়াই করছেন নিম্নপদস্থ কর্মচারী নিয়োগের তদবির আর অনিয়ম নিয়ে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশন যে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সেই সত্যটাও কমিশন সংশ্লিষ্টরা সম্ভবত ভুলে গেছেন। তাদের অধীনে ভবিষ্যৎ যে কোনো কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। গণতন্ত্রের স্বার্থেই এহেন অবমাননাকর অধ্যায়ের শেষ হওয়া দরকার। ব্যর্থতা এবং নৈতিক স্খলনের দায় নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা অন্য কমিশনাররা যে সরে যাবেন না, সেটা এতদিনে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তারা তাদের শপথের অবমাননা করছেন, সংবিধান অবমাননা করছেন এবং নিয়োগকর্তা হিসেবে রাষ্ট্রপতির অসম্মানের ঝুঁকি সৃষ্টি করছেন। আমরা রাষ্ট্রপতির প্রতি সশ্রদ্ধ আবেদন করছি, এই বিতর্কিত ব্যক্তিদের দ্রুত অপসারণের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। পাশাপাশি এ পর্যন্ত যত অনিয়ম হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তার তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

 

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top