রাজশাহী রবিবার, ১২ই মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১


জঙ্গি সংগঠন ‘তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ’র আত্মপ্রকাশ, নতুন বছরে হামলার ছক


প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:৪০

আপডেট:
১২ মে ২০২৪ ২৩:২৮

ছবি: গ্রেফতার আসামিরা

দেশে বড় হামলার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন আরও একটি জঙ্গি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। সংগঠনটির নাম তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ (আল-জিহাদি)। গত ২-৩ মাস ধরে সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বলে জানিয়েছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় এন্টি টেররিজম ইউনিট হেড কোয়ার্টারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশন্স) মোহা. আলীম মাহমুদ।

আরও পড়ুন: কোথায় আছেন সেই এডিসি হারুন ও সানজিদা?

এটিইউ জানায়, আগামী বছর বড় হামলার পরিকল্পনা করেছিল এই জঙ্গি সংগঠনটি। গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানার পর সংগঠনটির শীর্ষ নেতা জুয়েল মোল্লাসহ (২৯) তিনজনকে গ্রেফতার করে এটিইউ। এ সময় তার কাছ থেকে সংগঠনটির ৮টি পতাকাও উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার বাকি দু’জন হলেন রাহুল হোসেন (২১) ও গাজিউল ইসলাম (৪০)।

তাদের দাবি, নতুন এই উগ্রবাদী সংগঠনের কয়েকজন সক্রিয় সদস্য নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা সশস্ত্র উগ্রবাদী মতবাদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও নানামুখী সন্ত্রাসী হামলার ছক এঁকে উসকানিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। নতুন এই সংগঠনের শীর্ষ নেতা ও অন্যান্য সদস্য আইটি সম্পর্কে অধিকতর জ্ঞানার্জন, বোমা তৈরির কৌশল শিক্ষা এবং সংগঠন পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।

এটিইউর প্রধান আলীম মাহমুদ বলেন, গত চার মাস আগে এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান পরিচালনা করে জুয়েলকে বাগেরহাট থেকে, জয়পুরহাট থেকে রাহুলকে ও রাজধানীর ভাসানটেক এলাকা থেকে গাজীউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জুয়েল এই সংগঠনের প্রধান। বাকি দুজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। সংগঠনটি ২-৩ মাস হলো তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ সালে দেশে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা করা।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সবাই আগে কোনো না কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিল। কিন্তু তারা নতুন লক্ষ্য নিয়ে একত্রিত হচ্ছিল। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘সাহেবে-কিরান বারাহ (দারুল জান্নাত)’ নামে সিক্রেট অনলাইন গ্রুপ ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিল।

তিনি বলেন, এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নেতা হলেন জুয়েল। আমরা প্রথমে জুয়েলকে বাগেরহাটের রামপাল থেকে গ্রেফতার করি। পরে তার দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাকি দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাংবাদিক নিপীড়নে উদ্বিগ্ন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

আলীম মাহমুদ বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি অর্থও সংগ্রহ করছিল। এই অর্থ দিয়ে অস্ত্র কেনাসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এই অস্ত্র ও বোমা দিয়ে তারা বড় ধরনের জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা নিয়েছিল।

 

 

 

আরপি/এসআর-১৭



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top