রাজশাহী সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


এডিসি হারুনের পরিবারের সবাই বিএনপি-জামায়াত সমর্থক!


প্রকাশিত:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৩৯

আপডেট:
৬ মে ২০২৪ ০৫:৫০

ফাইল ছবি

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে বেধড়ক পিটুনির ঘটনায় অভিযুক্ত রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের পরিবারের সবাই ‘বিএনপি-জামায়াত সমর্থক’ বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটা দাবি করেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন: দিল্লির এক সেলফিতেই বিএনপির লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে: কাদের

এডিসি হারুনের পরিচয় ও গ্রামের বাড়ির উল্লেখ করে গোলাম বাব্বানী জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদের বাবার নাম জামাল উদ্দিন গাজী। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামে।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘হারুন সাহেবের পিতা মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আশাশুনি এর ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জামাল উদ্দিন ও মাতা শেফালী বেগম উভয়ই জামায়াত সমর্থক। নানা মৃত বাবর আলী সানা একজন মুসলিম লীগার ও সক্রিয় জামায়াত নেতা ছিলেন। মামা হুমায়ুন কবির ও মিলন বিএনপি সক্রিয় কর্মী। এ ছাড়া বাবা ও মায়ের পরিবারের সকল সদস্যগণ বিএনপি-জামায়াত সমর্থক।’

রাব্বানী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর জিয়া হল ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাকের রুমমেট ছিলেন (কক্ষ নং- ৩১০) এবং তার সাথে সক্রিয়ভাবে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে জিয়া হলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে ছাত্রলীগ তকমা লাগান।’

এডিসি হারুনকে অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘তিনি একজন অনুপ্রবেশকারী হিসেবে নিজের আখের গোছানোসহ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি বিনষ্টে গোপনে কাজ পরিচালনা করছেন বলে স্পষ্ট প্রতীয়মান। জামায়াত-বিএনপি পরিবারে একজন সদস্য ও ছাত্রদল কর্মী কিভাবে ডিএমপির গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়িত হয়ে ছাত্রলীগ নেতাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালানো, পাশবিক নির্যাতনসহ সরকারকে বিব্রত ও বেকায়দায় ফেলতে ক্রমাগত বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন, তা নিয়ে স্থানীয় ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ-হতাশা বিরাজমান।

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top