রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজশাহীসহ ৫ সিটির ভোট


প্রকাশিত:
৬ মার্চ ২০২৩ ০৫:৪১

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:২৯

ফাইল ছবি

নির্বাচনগুলো সেরে ফেলতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংস্থাটি সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায়। সিটি করপোরেশনগুলো হলো- গাজীপুর, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা।

রোববার (৫ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

আলমগীর বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি আমাদের। যেটা আলোচনা হয়েছিল গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে। মেয়াদ শেষ হওয়ার চয় মাসের মধ্যে এসব সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করতে হয়। ইচ্ছা করলে ছয় মাসে শেষ করা যায়। মাঝামাঝি করা যায়, আগেও করা যায়।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, যেহেতু আমাদের জাতীয় নির্বাচন আছে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে, সেজন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে এই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষের দিকে না করে প্রথম দিকে করা। এজন্য সেটাই করবো।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়।

গাজীপুর সিটির পরবর্তী ভোটের সময় গণনা শুরু হবে ১১ মার্চ। ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। খুলনা ও রাজশাহী সিটির সময় গণনা শুরু হবে ১৩ এপ্রিল, ১০ অক্টোবরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এছাড়া বরিশাল সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ১৪ মে, ভোট করতে হবে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে। সিলেট সিটির নির্বাচন করতে হবে ৬ মে থেকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে। আর ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন করতে হবে ২০ ডিসেম্বর থেকে, আগামী বছরের ১৯ জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।

কমিশনার বলেন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী সিটি করপোরেশন গাজীপুরের ব্যাপারে শুধু ওইটুকু আলোচনা হয়েছে। তফসিল কবে এ ধরনের কোনো আলোচনা হয়নি। তবে মার্চের পরে যে কোনো সময় হতে পারে।

মো. আলমগীর বলেন, ১১ মার্চ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে ভোটের সময়। যেকোনো সময়ে নির্বাচন হতে পারে। সে হিসেবে যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। সেজন্য নির্বাচনগুলো আগে করার চেষ্টা করবো। মার্চের পরে যেকোনো সময় নির্বাচন হতে পারে।

গাজীপুর ছাড়া অন্য চার সিটির ভোট একদিনে হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একদিনে হবে না। মোট ছয়টা সিটি আছে। তার মধ্যে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনেক দেরি। ওটাকে আমরা এর মধ্যে আনছি না। বাকি পাঁচটার ক্ষেত্রে হয়তো দুই দিনে হতে পারে। তিনদিনে হতে পারে। জুন মাসের মধ্যে দুটি সিটি ভোট করার ইচ্ছা আছে। তবে এখন পর্যন্ত দিন তারিখ ঠিক হয়নি। চূড়ান্ত কিছু হয়নি। যেগুলো আগে সময় গণনা শুরু হবে সেগুলো আগে হবে।

গাজীপুরে স্থানীয়ভাবে তফসিল ঘোষণা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, গাজীপুর নিয়ে আমরা (কমিশন) কোনো তফসিল ঘোষণা করিনি। জুনের আগে আগে দুই একটা সিটি ভোট হবে৷ বাকিগুলো জুনের পরে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিটি ভোট শেষ করবো।

বাজেটের ওপর নির্ভর করবে সিসি ক্যামেরা

সব নির্বাচনে অনিয়ম রুখতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কথা বলে এলেও সিটি নির্বাচনে তা থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘এগুলো নির্ভর করবে বাজেটের ওপরে৷ আমরা বাজেট চাইব। টাকা পাইলে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার আগ্রহ আছে। এটাও ডিপেন্ড করবে। নতুন ইভিএম আসেনি। ইভিএমগুলোর ব্যাটারির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। সার্ভিসিং করাতে হবে। সে জন্য টাকা লাগবে। সার্ভিসিং করিয়ে যদি সচল করতে পারি তার ওপরে নির্ভর করবে কতগুলো ইভিএম ব্যবহার করবো। তবে কমিশনের ইচ্ছা ইভিএমে করা।’

সরকারের ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর সিসি ক্যামেরা নির্ভর করছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা ভোটের অনুষঙ্গ না। আইনে কোথাও বলা নেই, সিসি ক্যামেরা রাখতে হবে। এটা বাড়তি ব্যবস্থা এবং পরীক্ষামূলক ছিল৷ টাকা পেলে সব আসনে না করলেও ঝুঁকিপূর্ণ আসনে করব। সরকার থেকে আমরা কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি। দলের কেউ মন্তব্য করতেই পারে। দলের সঙ্গে সরকারের মন্তব্যের রিলেশন করা যাবে না। সরকার আর দল কিন্তু এক নয়।

 

 

আরপি/এসআর-১৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top