রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


প্রকৃত অভিভাবককে হারালাম: শেখ হাসিনা


প্রকাশিত:
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৪:১৮

আপডেট:
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৪:১৯

সংগৃহিত

আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে তিনি একজন প্রকৃত অভিভাবককে হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের সব গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে সাজেদা চৌধুরীর বিরাট অবদানের কথা স্মরণ করেন।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক শোকবার্তায় সরকারপ্রধান বলেন, ‘তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো এবং আমরা একজন প্রবীণ রাজনৈতিক নেত্রীকে হারালাম। সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আমি একজন প্রকৃত অভিভাবককে হারালাম।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাজেদা চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন যে, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অবর্তমানে আওয়ামী লীগের জাতীয় অধিবেশনে সভানেত্রী হিসেবে তাঁকে মনোনীত করার ক্ষেত্রে সাজেদা চৌধুরী বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার পর থেকে তিনি সাজেদা চৌধুরীকে তাঁর অভিভাবক হিসেবে পেয়েছেন। এরপর থেকে সংসদের উপনেতা, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাজেদা চৌধুরী তাঁর ছায়াসঙ্গী ছিলেন।

শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণাকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাজেদা চৌধুরীর দেখা হওয়ার পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আগ্রহী হন। এরপর ১৯৫৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং এরপর থেকে সকল আন্দোলনেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনে সাজেদা চৌধুরী ছিলেন নির্বাচিত সাতজন গণপরিষদ সদস্যের মধ্যে অন্যতম। তিনি ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য নিহত হওয়ার পর সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হন। তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি সাজেদা চৌধুরীর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৮৭ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মারা যান।

আরপি/ এসএইচ ০৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top