একসঙ্গে তিন ‘জিনের বাদশা’ ধরা

বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে জিনের বাদশা পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় করা মামলায় গাইবান্ধা থেকে তিন জিনের বাদশাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মুন্নাফ, তৌহিদ ও শিবু চন্দ্র। তাদের বাসা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে প্রেস ব্রিফিং ডেকে নারায়ণগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, গত ১৯ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত ফতুল্লা এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ মনোয়ারা বেগমের মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে জিনের বাদশা পরিচয়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণের গহনা নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন মনোয়ারা বেগমের ছেলে ডা. মাহমুদুল হাসান। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোবারক হোসেন ও এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ থেকে মুন্নাফকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্গে জিনের বাদশার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, মুন্নাফের দেয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে জিনের বাদশার মূলহোতা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রামনাথপুর এলাকার বাসিন্দা তৌহিদকে গ্রেফতার করা হয়। তৌহিদের দেয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে গোবিন্দগঞ্জের বোয়ালিয়ার প্রধানপাড় এলাকার বাসিন্দা শিবু চন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে তার কাছ থেকে আত্মসাৎকৃত ২০ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা উদ্ধার করা হয়।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, তারা সবাই পেশাদার জিনের বাদশা চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা একাধিক রেজিস্ট্রেশনবিহীন ভুয়া সিম ব্যবহার করে জিনের বাদশা পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। বার বার সিম পরিবর্তন করায় তাদের অবস্থান জানা কঠিন হয়ে যায়। এরপরও প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হই আমরা।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি। কেউ যেন লোভে পড়ে তাদের ফাঁদে পা না দেয়। সামাজিকভাবে এসব বিষয়ে আমাদের সচেতনতার বিকল্প নেই।
আরপি/আআ
বিষয়: জিনের বাদশা গাইবান্ধা সচেতনতা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: