রাজশাহী সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


‘আপনারা আমারে খায়া ফেললেন, সাবধান হইতে হবে’


প্রকাশিত:
১৫ আগস্ট ২০২২ ০৭:০৯

আপডেট:
৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:৫১

সংগৃহিত

‘বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশেতে আছে’ এমন মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের দুষেছেন। সংবাদ পরিবেশনার কারণে তাঁকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বলে মনে করেন মন্ত্রী। তবে দায়িত্বশীল পদে থেকে আরও সাবধানে মন্তব্য করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার (১৪ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে ঢাকায় সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশলেতের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ব্যাপক আলোচিত মন্তব্যের ব্যাপারে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো ট্রু সেন্সে বেহেশত বলিনি। কথার কথা। কিন্তু আপনারা সবাই আমারে খায়া ফেললেন।’

নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেকের চেয়ে ভালো আছি। বলতে পারেন বেহেশতে আছি। আর যায় কোথায়! সবাই আমারে এক্কেরে...।’

গণমাধ্যমের সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কি মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব করেছি? আফটার অল আই অ্যাম আ পাবলিক ফিগার। নিশ্চয়ই আপনারা আমাকে ক্রিটিসাইজ করতে পারেন। আই ডোন্ট মাইন্ড। তবে আগামীতে সাবধান হইতে হবে। আমি খোলামেলা মানুষ। আমি শিক্ষক মানুষ। আমি যেটা মনে করি, সেটা খোলামেলা বলে ফেলি। আমার দল থেকে আমাকে ইয়ো করেছেন। পজিশনে থেকে ভালো কথা বলা দরকার।’

গত শুক্রবার (১২ আগস্ট) সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ‘ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক’ মতবিনিময় সভাশেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। আমরা সুখে আছি, বেহেশতে আছি।’

তার বক্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে শনিবার নিজের বক্তব্যের ব্যাখাও দেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে তার বক্তব্যকে সাংবাদিকরা টুইস্ট করেছেন বলেও দাবি করেন।

নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে- একটি পক্ষ এমন প্যানিক ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমরা বৈশ্বিক মন্দার কারণে কিছুটা সংকটে আছি ঠিক, কিন্তু আমাদের যথেষ্ট রিজার্ভ আছে। আগাম সতর্কতা হিসেবে আমরা কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, কম্পারেটিভ টু আদার কান্ট্রি (অন্য দেশের তুলনায়) ভালো আছি। আর আপনারা সব জায়গায় লিখেছেন ‘বেহেশত বলেছেন’। মানে টুইস্ট করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি ইংল্যান্ডে ১২ ভাগ, তুরস্কে ৬৭ ভাগ, পাকিস্তানে ৩৭ ভাগ, শ্রীলঙ্কায় ১৫০ ভাগ, আর আমাদের মুদ্রাস্ফীতি মাত্র ৭ ভাগ। সেই দিক দিয়ে আমরা ভালো আছি। আপনারা কিন্তু এই কথাগুলো বলেননি। এসব তুলনা করলে আমরা অনেক ভালো আছি। বিষয়টি না বুঝে টুইস্ট করা ঠিক হয়নি।’

‘বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশেতে আছে’ এমন মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের দুষেছেন। সংবাদ পরিবেশনার কারণে তাঁকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বলে মনে করেন মন্ত্রী। তবে দায়িত্বশীল পদে থেকে আরও সাবধানে মন্তব্য করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার (১৪ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে ঢাকায় সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশলেতের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ব্যাপক আলোচিত মন্তব্যের ব্যাপারে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো ট্রু সেন্সে বেহেশত বলিনি। কথার কথা। কিন্তু আপনারা সবাই আমারে খায়া ফেললেন।’

নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেকের চেয়ে ভালো আছি। বলতে পারেন বেহেশতে আছি। আর যায় কোথায়! সবাই আমারে এক্কেরে...।’

গণমাধ্যমের সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কি মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব করেছি? আফটার অল আই অ্যাম আ পাবলিক ফিগার। নিশ্চয়ই আপনারা আমাকে ক্রিটিসাইজ করতে পারেন। আই ডোন্ট মাইন্ড। তবে আগামীতে সাবধান হইতে হবে। আমি খোলামেলা মানুষ। আমি শিক্ষক মানুষ। আমি যেটা মনে করি, সেটা খোলামেলা বলে ফেলি। আমার দল থেকে আমাকে ইয়ো করেছেন। পজিশনে থেকে ভালো কথা বলা দরকার।’

গত শুক্রবার (১২ আগস্ট) সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ‘ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ক’ মতবিনিময় সভাশেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। আমরা সুখে আছি, বেহেশতে আছি।’

তার বক্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। এর মধ্যে শনিবার নিজের বক্তব্যের ব্যাখাও দেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে তার বক্তব্যকে সাংবাদিকরা টুইস্ট করেছেন বলেও দাবি করেন।

নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে- একটি পক্ষ এমন প্যানিক ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আমরা বৈশ্বিক মন্দার কারণে কিছুটা সংকটে আছি ঠিক, কিন্তু আমাদের যথেষ্ট রিজার্ভ আছে। আগাম সতর্কতা হিসেবে আমরা কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি, কম্পারেটিভ টু আদার কান্ট্রি (অন্য দেশের তুলনায়) ভালো আছি। আর আপনারা সব জায়গায় লিখেছেন ‘বেহেশত বলেছেন’। মানে টুইস্ট করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি ইংল্যান্ডে ১২ ভাগ, তুরস্কে ৬৭ ভাগ, পাকিস্তানে ৩৭ ভাগ, শ্রীলঙ্কায় ১৫০ ভাগ, আর আমাদের মুদ্রাস্ফীতি মাত্র ৭ ভাগ। সেই দিক দিয়ে আমরা ভালো আছি। আপনারা কিন্তু এই কথাগুলো বলেননি। এসব তুলনা করলে আমরা অনেক ভালো আছি। বিষয়টি না বুঝে টুইস্ট করা ঠিক হয়নি।’

আরপি/ এসএইচ ১৪

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top