রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক


প্রকাশিত:
১৪ আগস্ট ২০২২ ২০:১৮

আপডেট:
১৪ আগস্ট ২০২২ ২০:৩১

ফাইল ছবি

নাটোরের গুরুদাসপুরে ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় এক ভাড়া বাসাতে তার মরদেহটি পাওয়া যায়। তবে, কিভাবে মারা গেছে এখনো জানা যায়নি।

এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে তার স্বামী মো. মামুন হোসেনকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ।

নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় তার স্বামী মো. মামুন হোসেনকে আটক করা হয়েছে।

শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

আটক মো. মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

এর আগে গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বিয়ের খবরটি ভাইরাল হয়। এতে সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

ওসি নাসিম আহমেদ জানান, মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বিস্তারিত জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসের বেশি সময় পার হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিন্ধান্ত নেন।

২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে এখনও বিয়ে মেনে নেননি। এর আগে ওই শিক্ষিকা প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশিদিন টিকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে একজন সন্তান রয়েছে।

 

আরপি/ এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top