রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে আসছেন শনিবার, হতে পারে চুক্তি


প্রকাশিত:
৫ আগস্ট ২০২২ ০৫:৫১

আপডেট:
৫ আগস্ট ২০২২ ০৫:৫৩

সংগৃহিত

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশে আসছেন শনিবার (৬ আগস্ট)। তার এ সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে বেশ কটি চুক্তি সই হতে পারে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবা‌দিকদের সঙ্গে আলাপকা‌লে এসব তথ‌্য জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ‌রিয়ার আলম।

আরও পড়ুন:ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হল ক্রয় মূল্যে

প্রতিমন্ত্রী জানান, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ৬ আগস্ট সকালে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন এবং ৭ তারিখে ফিরে যাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ৭ আগস্ট সকালে তিনি বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।


তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীর এবং বিস্তৃত। সে জায়গা থেকে আসন্ন সফরে একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে নবায়ন, নতুন সহযোগিতা, বিশেষ করে দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন: সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে এশিয়া

কোন কোন বিষয়ে চুক্তি বা সমঝোতা সই হতে পারে- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ তালিকা এখনও চূড়ান্ত হয়নি, অপেক্ষা করতে হবে। তবে বেশ কয়েকটি চুক্তি বা সমঝোতা সই হতে পারে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত, বাংলাদেশের অব্যাহত সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে জড়িত, বাংলাদেশের নীতির সঙ্গে জড়িত। সংখ্যাটি পাঁচ বা সাত- এমন হতে পারে।


তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় চুক্তি হতে পারে, যার মধ্যে হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার দুটিই থাকবে। এর বাইরে সংস্কৃতি বিনিময় নিয়ে একটি চুক্তি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি শিক্ষা সংক্রান্ত বিনিময় চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্যোগ সংক্রান্ত চুক্তিটি একটি প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা হবে, যেখানে চীনের অর্থায়ন থাকবে। সেই হিসেবে দুর্যোগ প্রকল্পে চীনের ঋণ নেওয়া হতে পারে, তবে বৃহৎ কোনো প্রকল্পে চীনের ঋণ নিচ্ছি না।

আরও পড়ুন: রুয়েট ভিসির দায়িত্বে ড. সাজ্জাদ হোসেন

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে চীনের প্রতি কোনো শক্ত চাপ থাকবে কি না- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই থাকবে। রোহিঙ্গা ইস্যু আমাদের টপ প্রায়োরিটিতে থাকা এজেন্ডা। এ সফরে এ ইস্যু গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আপনারা দেখেছেন যে, সম্প্রতি আসিয়ানের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে চীনের প্রতি শক্ত বার্তা দেওয়া হয়েছে এবং একইসঙ্গে চীনের স্টেট কাউন্সিলর যখন ভিজিট করছেন তার মাত্র দুই-আড়াই সপ্তাহ আগে আইসিজে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের প্রাথমিক রায় দিয়েছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যখন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে আসছেন আমরা নিশ্চয়ই বার্তাটি দেব এবং তাদের আরও জোরালো ভূমিকা আহ্বান করব। প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য চীনের সহযোগিতা আমরা অবশ্যই চাইব। আমরা এই বার্তা পেয়েছি যে মিয়ানমার যে পথে যাচ্ছে, তা নিয়ে চীনেরও অসন্তোষ (রিজারভেশন) রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা চাই যে, এ ইস্যুতে পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়। কেননা বিশ্ব যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের আহ্বান হচ্ছে যে, সব পক্ষ যাতে এ ইস্যুতে সংযত আচরণ করে এবং জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলে। আমরা আশা করি যে, এই পরিস্থিতির আর অবনতি হবে না। কেননা বিশ্ব এখন নতুন সঙ্কট বইতে পারবে না। অন্য বলয়গুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কী হবে— তা আমাদের ইস্যু। আমরা চাই না আমাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কেউ পরামর্শ বা নির্দেশনা দিক। এ বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে চীন বাংলাদেশের একটি বন্ধু রাষ্ট্র এবং তাদের অনেক পরিকল্পনার সঙ্গে আমাদের সম্মতি আছে।

 

আরপি/ এসএইচ ০৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top