রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


বিএসএফের সহযোগিতায় ভারত থেকে ঢুকছে শত শত মানুষ


প্রকাশিত:
২৩ নভেম্বর ২০১৯ ২১:৩৯

আপডেট:
২৩ নভেম্বর ২০১৯ ২১:৪০

১০ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই।

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে শত শত নারী-পুরুষ। এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) আতঙ্কে চলতি মাসের ১ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ২১৪ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। স্থানীয়রা বলছেন, বিজিবি প্রতিদিন যতজনকে আটক করেছে, অনুপ্রবেশ করছে তার চেয়ে অনেক বেশি।

জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার জুলুলী, খোসালপুর, বাঘাডাঙ্গা, পলিয়ানপুর ও শ্যামকুড় সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে অসংখ্য মানুষ। চলতি মাসে ৫৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের হাতে আটক ২১৪ জনের বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ের। আসাম ও বেঙ্গালুরসহ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করা এ মানুষগুলোকে ভারতের এনআরসিতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। যে কারণে ভারত সরকারের একটি সরকারি বাহিনীর চাপে দেশ ছাড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

স্থানীয়দের দাবি, অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে রাতের অন্ধকারে শত শত নারী-পুরুষ প্রবেশ করছেন। এতে সহায়তা করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

ঝিনাইদহের মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু বলেন, সীমান্ত দিয়ে যারা আসছে, তারা অনেক আগেই বাংলাদেশ থেকে সেখানে গিয়েছেন। এখন এ সমস্যা সমাধানে দু’দেশের সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল আলম বলেন, এপর্যন্ত যারা আটক হয়েছেন তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে তারা কেউ ১০ বছর, কেউ ১৫ বছর আগে ভারতে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় ১৩টি মামলা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বেশিরভাগের বাড়ি বাগেরহাট ও মোড়েলগঞ্জ এলাকায়।

বিজিবির ৫৮ খালিশপুর ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল কামরুল আহসান বলেন, মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যারা বাংলাদেশে আসছে তাদের ব্যাপারে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যারা এ সীমান্ত দিয়ে আসছেন তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে তাদের আটক করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেলে কোথায় উঠবে, এটা নিয়েও একটা চিন্তা রয়েছে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিজিবির পক্ষ থেকে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। জেলার সীমান্ত এলাকা ৭০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১০ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নেই।

লে. কর্নেল কামরুল আহসান বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসা শত শত নারী-পুরুষের অবৈধ অনুপ্রবেশ যাতে আর না হয়, সে ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মহেশপুর-ভারত সীমান্তবর্তী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সহায়তায় দ্রুত একটি কমিটি গঠন করা হবে।

 

 

আরপি/এমএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top