রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


দেড় শতাধিক হজযাত্রীকে হোটেলে রেখে ‘লাপাত্তা’ এজেন্সি, থানায় অভিযোগ


প্রকাশিত:
৫ জুলাই ২০২২ ০৩:১৯

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫:৩৪

দেড় শতাধিক হজযাত্রীকে সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলে ঢাকায় ডেকে এনে হোটেলে রেখে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী হজযাত্রীরা এই অভিযোগ করেছেন।

এদিকে আজ শেষ হচ্ছে হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের অভিযোগ, এজেন্সির প্রতারণা ও দায়িত্বহীনতার কারণে তারা এ বছর হজে যেতে পারছেন না। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে সবুজবাগ থানায় অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগী হজযাত্রীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৭১ জন হজযাত্রীকে হজে পাঠানোর বার্তা দিয়ে ঢাকায় আনা হয়। তারা গত ২/৩দিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছেন। তারা সবাই আল হেলাল এজেন্সির মাধ্যমে হজে যাওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে এজেন্সির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বছর তাদের বেশিরভাগ হজে যেতে পারছেন না। এরপর মালিবাগ বিজ্ঞান কলেজ লাগোয়া আল হেলাল হজ এজেন্সির অফিসে তালা ঝুলিয়ে লাপাত্তা হয়ে পড়ে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ।

ভুক্তভোগীরা এ ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ এজেন্সির একাধিক স্টাফকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

মোয়াল্লেম ইকবাল টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, আমার অধীনে ৮জন হজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে জানতে পারি এ বছর আমরা কেউ হজে যেতে পারব না। এজেন্সির পক্ষ থেকে আমাদের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

মোয়াল্লেম ফরিদ বলেন, আমার গ্রুপে ১৭ জন হজে যাওয়ার কথা ছিল। হজে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে দু’তিন দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছি। শেষ মুহূর্তে আল হেলাল এজেন্সির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমাদের ১৭ জনের মধ্যে ৫ জন বিশেষ কোটায় হজে যেতে পারবেন। বাকি ১২ জন যেতে পারবেন না।

তিনি বলেন, হজযাত্রীরা এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এ বিষয়ে সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির মোল্লা বলেন, অভিযোগ পেয়ে এজেন্সির ম্যানেজারকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এজেন্সি ভুক্তভোগীদের কয়েকজনকে বিশেষ কোটায় হজে পাঠানোর কথা দিয়েছে। বাকি যারা যেতে পারছেন না তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তারা।

আল হেলাল এজেন্সির মালিক মাজহারুল ইসলাম তালুকদারের দাবি, ২০২২-২০২৩ সালের কোটায় ১৭১ জনকে এবার হজে পাঠানো যাচ্ছে না। পরে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশেষ কোটায় ৫০ জনকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। বাকি ১২১ জনকে এবার পাঠানো যাচ্ছে না। তাদের মধ্যে যারা এজেন্সির কাছে টাকা জমা দিয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

এজেন্সি মালিকের দাবি, কোটা খালি থাকা সাপেক্ষে হজে পাঠানো হবে এমন শর্তে তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়।
মাজহারুলের ভাষ্য, যে ১২১ জন যেতে পারছে না তাদের মধ্যে মাত্র এক তৃতীয়াংশ তাদের কাছে টাকা জমা দিয়েছেন। বাকিরা মোয়াল্লেমের কাছে কিছু টাকা জমা রেখেছেন। এজেন্সির কাছে যারা টাকা জমা দিয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

হজে পাঠানো যাচ্ছে না জেনেও কেন তাদের ঢাকায় ডেকে আনলেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যাদের যাওয়ার সম্ভাবনা আছে তারা যেন হাজি ক্যাম্পের আশপাশে অবস্থান করে। যাদের সম্ভাবনা নেই তাদেরকে ডেকে এনেছেন মোয়াল্লেমরা।

অফিস বন্ধ রাখার বিষয়ে এজেন্সি মালিক বলেন, থানায় অভিযোগ যাওয়ার পর পুলিশ অফিসে এসেছিল। আমাদের স্টাফদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ কারণে অফিসে কেউ নেই।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top