রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


করোনায় মৃত্যু ৫, শনাক্ত ১৮৯৭


প্রকাশিত:
২ জুলাই ২০২২ ০৫:০২

আপডেট:
২ জুলাই ২০২২ ০৬:২৫

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ১৬ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে ২৯ হাজার ১৫৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিল এই ভাইরাস।

এদিকে টানা চার দিন পর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজারের নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮৯৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮২ জন।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ১২ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৮৯৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগের টানা চার দিন দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজারের বেশি ছিল।

গত সোমবার (২৭ জুন) শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়ায়। সেদিন ২ হাজার ১০১ জন শনাক্ত হয়।পরদিন মঙ্গলবার ২ হাজার ৮৭ জন, বুধবার ২ হাজার ২৪১ জন এবং বৃহস্পতিবার ২ হাজার ১৮৩ জন রোগী শনাক্ত হয়।

আজ (শুক্রবার) বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৮ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৭৫৭ জন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনায় মৃত্যু বেশি না হলেও আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।একইসঙ্গে মৃত্যুও বাড়ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top