রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারীদের বিচার দাবি


প্রকাশিত:
৩০ জুন ২০২২ ০২:০৪

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:১৮

ছবি: গোলটেবিল আলোচনা

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছেন তাদের বিচার দাবি করেছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মনের বিশালতা দেখিয়ে হয়তো বলেছেন, কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু যারা উন্নয়নের বিরোধিতা করেছে তাদের বিচার হতে হবে। এদের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’

বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘পদ্মা সেতু: সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এই দাবি জানান।

রেজাউল করিম বলেন, ‘ড. ইউনূস হোক, আর অন্য যারাই পদ্মা সেতুসহ দেশের উন্নয়নের বিরোধিতা করেছেন তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। একজন সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে আমি মনে করি, বিশেষ ক্ষমতা, দণ্ডবিধি অনুযায়ী যারা উন্নয়নের বিরোধিতা করে, সত্য-মিথ্যা লিখে, তারা অপরাধী। তারা পার পেতে পারে না।’

নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্তের সময় আওয়ামী লীগের অনেকেই সেদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাল মেলাননি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘স্কুলের শিক্ষার্থীরা টিফিনের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু করার কথা বলল। সাধারণ মানুষ এগিয়ে এলো। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে শেখ হাসিনা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেন।’

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘নিজেদের অর্থে সেতু করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন, আমরা চাইলেই পারি। এটা হলো প্রধানমন্ত্রীর সততা, আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যেখানে তাকাবেন শেখ হাসিনাকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তারেক রহমানের বক্তব্য ফেসবুকে ভাসছে। বলেছিল, ঘরে বাইরে সব জায়গায় কারও পক্ষে বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব না। কিন্তু এখন শতভাগ বিদ্যুৎ সবখানে।’

রেজাউল বলেন, ‘অনেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে বিদ্রুপ করেছিলেন। অথচ লন্ডনে পালিয়ে থেকে তাদের নেতা ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সময় বিনা পয়সায় সাইবার সংযোগ দিতে চাইল, কিন্তু অশিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী বললেন, তথ্য পাচার হবে, তাই সুযোগ দিলেন না। কিন্তু পরে সেই ইন্টারনেট টাকা দিয়ে আমাদের কিনতে হয়েছে।’

শ ম রেজাউল করিম বলেন, অনেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে বিদ্রুপ করেছিলেন। অথচ লন্ডনে পালিয়ে থেকে তাদের নেতা ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘যদি পদ্মা সেতু নির্মাণে শেখ হাসিনা সফল না হতেন তাহলে এই রাষ্ট্র ব্যর্থ হতো। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর আমরা কিন্তু সেইভাবে প্রতিবাদ করতে পারিনি। পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী একক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তখনও আমাদেরই অনেকে বিরোধিতা করেছি, তার পাশে ছিলাম না। উনি আজকে ব্যর্থ হলে আমরাই হয়তো বলতাম উনি তো আমাদের সঙ্গে কথা না বলে একক সিদ্ধান্ত এ কাজ হাতে নিয়েছেন।’

পদ্মা সেতুর নির্মাণ না হোক যারা সেটা চেয়েছিলেন তাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস ষড়যন্ত্র করেছেন। কিন্তু উনি একা নন, তার সঙ্গে আরও অনেকে ছিলেন।’

সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপধ্যায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব ডা. অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

 

 

আরপি/এসআর-০৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top