রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


বিমানের বলাকা অফিসে অভিযানে দুদক


প্রকাশিত:
২ জুন ২০২২ ০৩:৩২

আপডেট:
২ জুন ২০২২ ০৩:৪০

ছবি: সংগৃহীত

মিশর থেকে ত্রুটিপূর্ণ উড়োজাহাজ লিজ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকায় অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (১ জুন) বেলা ১১টায় দুদক উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম মতিঝিলে পৌঁছায়। মূলত অনিয়ম সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করতেই অভিযান চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার (মিশর) থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর নামে দুটি উড়োজাহাজ লিজ নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে উড়োজাহাজটি সচল রাখার জন্য ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে সেটিও নষ্ট হয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই ইঞ্জিনটি মেরামতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। এসব প্রক্রিয়ায় ইজিপ্ট এয়ার ও মেরামতকারী কোম্পানিকে পাঁচ বছরে বাংলাদেশ বিমানের গচ্চা দিতে হয়েছে ১১ শ’ কোটি টাকা।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তদন্তে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানোর সুপারিশ করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

দুদকে আসার পর অনুসন্ধানে নেওয়ার পরপরই সংস্থাটির উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন ও সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। অনুসন্ধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করে গত ২৮ মে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নথিপত্র চেয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান গণমাধ্যমকে বলেন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে একটি চিঠি এসেছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ওই মন্ত্রণালয় মিশর থেকে দুটি বোয়িং ২০১৪ সালে লিজ নিয়েছিল। লিজ নেওয়া বোয়িং দুটি যথাযথভাবে কাজ করেনি।

এ ব্যাপারে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর জাতীয় সংসদের সংসদীয় কমিটির প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং সরকারি অর্থ তসরুপের সত্যতা পাওয়া গেছে। সে বিষয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর দুদক অনুসন্ধানের জন্য একজন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট টিম গঠন করেছে। আমরা আশা করছি এই টিম অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে দুদক আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে।

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top