রাজশাহী বুধবার, ১৬ই অক্টোবর ২০২৪, ১লা কার্তিক ১৪৩১


সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ নয়জনের দণ্ড


প্রকাশিত:
২৬ মে ২০২২ ০৩:৪৩

আপডেট:
১৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৩:০৩

ফাইল ছবি

ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে পৃথক দুটি ধারায় নয়জনকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিতদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবিরও আছেন। ধারা দুটিতে মোট ১৭ বছর কারাদণ্ড হলেও একইসঙ্গে সাজা কার্যকর হওয়ায় তাদের ১০ বছর করে জেলে থাকতে হবে।

বুধবার (২৫ মে) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।

হুমায়ুন কবির ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হোসেন খান ও সাইফুল হাসান এবং প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

রায়ে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক সম্পত্তি আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যা প্রত্যেকের কাছ থেকে সমহারে রাষ্ট্রের অনুকূলে আদায়যোগ্য হবে।

এছাড়া প্রতারণার দায়ে প্রত্যেককে ৭ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুই ধারার সাজা একইভাবে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করায় দণ্ডিতদের ১০ বছর কারাভোগ করতে হবে।

দণ্ডিতদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মাইনুল হক, এজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন এবং এজিএম কামরুল হোসেন খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ড পাওয়া অন্য পাঁচজন পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান রমনা মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে চার্জশিট জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এই আদেশ দেন।

 

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top