রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


অর্থপাচার মামলায় ১১ আসামীর সাত বছর কারাদণ্ড


প্রকাশিত:
২৫ এপ্রিল ২০২২ ২২:০৮

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৩৩

ছবি: সংগৃহীত

অর্থ পাচার আইনের মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত পুরান ঢাকার দুই ভাই এনামুল হক ভূঁইয়া এনু ও রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ৩১ মিনিটে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ মামলাটির রায় পড়া শুরু করেন। রায় পড়া শেষে এ আদেশ দেন তিনি।

এর আগে, সকাল ১০টার কিছু সময় পর এনু-রুপনসহ কারাগারে থাকা ছয়জন আসামিকে আদালতে আনা হয়। বাকি চারজন হলেন- জয়গোপাল সরকার, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম। এরপর তাদেরকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে ১১টা ২১ মিনিটে আসামিদের এজলাসে তোলা হয়। এসময় জামিনে থাকা তুহিন মুন্সি আদালতে হাজির হন।

গত ৬ এপ্রিল মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণা করা হয়নি। পরে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল রায় ঘোষণার জন্য ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। গত ১৬ মার্চ মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

এনু-রুপন বাদে মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, জয়গোপাল সরকার, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অপর ৬ আসামি রয়েছেন কারাগারে।

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসাসহ তাদের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের দুই সহযোগী আবুল কালাম ও হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এরপর তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে র‌্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলাটির অভিযোগে বলা হয়, এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালিত হলে তারা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করতে কালামের বাসায় রেখেছিলেন। কালাম সেগুলো নিজের কাছে রাখেন, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অপরাধ।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী। গত বছরের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

 

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top