রাজশাহী বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১


আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত:
২১ আগস্ট ২০১৯ ১৯:৪৬

আপডেট:
৮ মে ২০২৪ ১৯:৫৩

প্রতিকী ছবি

আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের সব নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডিতদের রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে দেশ থেকে দেশে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে হত্যা এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের চির অবসান হবে।


তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি কলঙ্কময় দিন। ২০০৪ সালের এ দিনে তাকে হত্যার উদ্দেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার করা ছিল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো হত্যাকারীদের রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা করেছিল।


হাসিনা বলেন, চারিদিকে যখন গ্রেনেড বিস্ফোরিত হচ্ছে, তখন দলের নিবেদিত প্রাণ নেতা-কর্মীরা মানববর্ম সৃষ্টি করে তাকে রক্ষা করেন। এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়নের ধারাকে স্তব্দ করে দেয়া। বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি এবং দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা; মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা।


তিনি বলেন, হামলাকারীদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অনেক আলামত ধ্বংস করে। তদন্তের নামে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে তারা জনগণকে ধোঁকা দিতে ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজানোর মত ঘৃণ্য কাজ করে। কিন্তু সত্য কখনও চাপা থাকেনি বা কখনও থাকবেনা। পরবর্তীকালে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তে বেরিয়ে আসে বিএনপি-জামায়াত জোটের অনেক কুশীলব এ হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পর দুই মামলার সব আইনি প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে গত বছরের ১০ অক্টোবর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।


ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অপরাধ করার ধৃষ্টতা দেখাতে না পারে তা বন্ধ করা হয়েছে। সব আইনি বিধি-বিধান ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যত দ্রুত সম্ভব এই রায় কার্যকর করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আরপি/এমএএইচ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top