রাজশাহী সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে শুরু হচ্ছে নতুন বছর


প্রকাশিত:
১ জানুয়ারী ২০২২ ০৯:২২

আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:৩৪

ফাইল ছবি

উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এদিকে শীতকাল আসার দেড় মাস কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত দেশের বেশির ভাগ এলাকায় জেঁকে শীত নামেনি। কিন্তু নতুন বছরের শুরু থেকে জেঁকে বসবে শীত। এছাড়া আগামীকাল শনিবার থেকে দেশের আরও কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর (বিএমডি)।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি এলাকার অধিবাসীরা মাত্র একবার শৈত্যপ্রবাহের পরশ পেয়েছেন।

তবে ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে দিনে তো দূরে থাক, রাত বা ভোরের তাপমাত্রাও শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি পর্যায়েও নামেনি। অর্থাৎ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, শীতের বাতাস আসার পথে প্রধান বাধা ছিল ভূমধ্যসাগর থেকে আসা মেঘ আর জলীয় বাষ্পপূর্ণ উষ্ণ বাতাস। আজ শুক্রবার থেকে তা সরে গেছে। ফলে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। নতুন বছরের শুরু থেকে শীত বাড়বে। উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় এরই মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে গেছে। আগামীকাল শনিবার থেকে দেশের আরও কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, গত ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগর ও ভূমধ্যসাগরে একাধিক নিম্নচাপের কারণে প্রচুর মেঘ এসেছিল। ফলে শীতের বাতাস ঠিকমতো সারা দেশে ছড়াতে পারেনি।

যে কারণে ডিসেম্বরে স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল। জানুয়ারি এমনিতেই আমাদের সবচেয়ে শীতল মাস। আর মেঘ সরে যাওয়ায় শীত বেড়ে যাওয়ার সব শর্ত পূরণ হচ্ছে। ফলে নতুন বছরের প্রথম মাসেই শীত বাড়বে।

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা বা মাঝারি আকারে কুয়াশা পড়তে পারে।

এসময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। আগামী তিনদিন দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমবেশি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে থাকা গত ৩০ বছরের রেকর্ড অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে তিন থেকে চারটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। মূলত দেশের উত্তরাঞ্চল, যশোর-চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার ও রাজশাহী বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এই মাসে সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা থাকে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা থাকে শ্রীমঙ্গলে সাড়ে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় মাসজুড়ে শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি থাকে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আগামীকাল শনিবারের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার দেশের বেশির ভাগ এলাকায় রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা ৯ দশমিক ১, নীলফামারীতে ১০ দশমিক ১ ও শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ও চট্টগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাপমাত্রাঃ সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি সেঃ হ্রাস পেতে পারে। ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার।

আজ সকাল ৬ টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল  ৬২ শতাংশ। আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫ টা ২২ মিনিট। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ০৬ টা ৪২ মিনিটে। আগামী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার অবস্থা সময়ের শুরুতে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

 

আরপি/ এমএইচ-১০



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top