রাজশাহী মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১


সপ্তাহজুড়ে উত্তরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আভাস


প্রকাশিত:
৩১ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:২০

আপডেট:
৭ মে ২০২৪ ০৮:৫৪

ছবি: সংগৃহীত

উত্তুরে হিমবাতাসের সঙ্গে মধ্য রাত থেকে ভোর অবধি ঘন কুয়াশা বিস্তীর্ণ অঞ্চলে; দিন-রাতের তাপমাত্রাও কমছে। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে এসে মৌসুমে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে উত্তরের বিভাগ রংপুরে।

বছরের প্রথম সপ্তাহে রংপুর বিভাগে এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. মোহাম্মদ আবুল কামাল মল্লিক।

তিনি বলেন, শৈত্যপ্রবাহ পরীক্ষায় বেশকটি নিয়ামক আমরা বিবেচনায় নিই। সেগুলো হল- দিনের ব্যাপ্তিকাল, সূর্যের কিরণকাল, কুয়াশার ব্যাপ্তি, বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ, ঊর্ধ্ব আকাশ থেকে বাতাসের নিম্নমুখী বিচরণ। এ সবকটা নিয়ামক যখন একসাথে সক্রিয় হবে তখনই বলতে পারব, দেশে শৈত্যপ্রবাহ চলছে।

‘সে বিবেচনায় বলা যায়, এখন পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামের কিছু জায়গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ রংপুর বিভাগে আরও বেশকিছুদিন চলবে। তাছাড়া সারাদেশের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করবে।’- বলে উল্লেখ করেন আবহাওয়াবিদ মল্লিক।

গত শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করা হয়েছে ফেনীতে।

রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি থেকে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। গত শুক্রবার রংপুর বিভাগে ৪-৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

মোহাম্মদ আবুল কামাল মল্লিক জানান, বড় এলাকা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে মৃদু; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।

বাংলাদেশে শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারি মাসজুড়ে। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি সৈয়দপুরের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া সাধারণ শুষ্ক থাকবে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং উত্তরাঞ্চলে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিক ধেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, ‘উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় এখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। সেই বলয় থেকে হিমেল বাতাস আমাদের দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে ঢুকছে। তবে সেই বাতাসের গতিবেগ কম থাকায় সারাদেশে ঠাণ্ডা তেমন অনুভূত হচ্ছে না।’

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুস্ক থাকতে পারে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশা পড়তে পারে।

সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

 

 

 

আরপি/এসআর-০৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top