রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


৪ অঞ্চলে বইছে শৈত্যপ্রবাহ


প্রকাশিত:
২২ ডিসেম্বর ২০২১ ০১:০৬

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১০:১৭

ফাইল ছবি

দেশের উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। এক দিনের ব্যবধানে দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে। সোমবার দেশে ১০টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও মঙ্গলবার তা কমে চারটি অঞ্চলে এসেছে। মঙ্গলবার সেখানে যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। এর ফলে শৈত্যপ্রবাহের আওতা আরও কমবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর (বিএমডি)।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও যশোরে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে তাপমাত্রার পারদ সবচেয়ে বেশি নেমেছে চুয়াডাঙ্গায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে যা এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

সোমবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঢাকায় ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও ঢাকায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবার যশোরে ৯ দশমিক ৬ ও চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এছাড়া যশোরের তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমেছিল। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ ও এর কাছাকাছি তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, অনুকূল পরিস্থিতির কারণে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আসা শীতল বাতাস দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। যে কারণে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

আবহাওয়াবিদ জানান, আগামী দুই-দিন এ শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। এরপর তাপমাত্রা একটু বাড়বে। ২৪ ডিসেম্বর থেকে আবার শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘এখন তাপমাত্রা দু-দিন বাড়বে, আবার হয়তো কমবে। এভাবেই যাবে।’ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার) সিলেটের দিকে (উত্তর-পূর্বাঞ্চল) হালকা বৃষ্টি হতে পারে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, কুয়াশা বাড়ার পাশাপাশি ঠান্ডা বাতাস আগের চেয়ে বেশি বইছে। ফলে শীতের অনুভূতি দ্রুত বাড়ছে। মঙ্গলবার দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি হেরফের না হলেও দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় শীতের অনুভূতি বেড়েছে। 

আজ সকালে ঢাকায় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৮৪ শতাংশ। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ৩৭ মিনিটে, সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে। এছাড়া পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে পারে।

সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর এলাকায় লঘুচাপটি অবস্থান করছে।

 

আরপি/ এমএএইচ-০৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top