রাজশাহী বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩১


মূলধন কমেছে ১৯ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা


প্রকাশিত:
৮ নভেম্বর ২০২১ ০৪:১৬

আপডেট:
৮ মে ২০২৪ ০৬:০৩

ফাইল ছবি

গেল সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেনের সঙ্গে বেশির ভাগ শেয়ার ও ইউনিটের দর কমতে দেখা যায়। এ সময় দুই স্টক এক্সচেঞ্জে বাজার মূলধন কমেছে ১৯ হাজার ৭৩৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গেল সপ্তাহের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৯৪০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গেল সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষ দিন তা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৯৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৭৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সময়ে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৯ হাজার ৭৩৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৪৩০ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭ হাজার ৫৫০ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ১১৯ কোটি ৭২ লাখ ৩২ হাজার টাকা বা ১৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯০৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৬০১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে গেল সপ্তাহে ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯০ টির, কমেছে ২৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির শেয়ার দর।


অপরদিকে, গেল সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২০৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৫৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সিএসইতে গেল সপ্তাহে ৩৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ২৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির শেয়ার দর। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে বস্ত্র খাতের শেয়ার। ডিএসইতে মোট খাত ভিত্তিক লেনদেনের মধ্যে ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ অবদান রয়েছে বস্ত্র খাতের। এছাড়া লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষে রয়েছে ব্যাংকিং খাত।

মোট খাতভিত্তিক লেনদেনে ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ হয়েছে ব্যাংক খাতের শেয়ার। এছাড়া ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন করে তৃতীয় স্থানে আছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। খাতভিত্তিক লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে বিবিধ খাতের ১১ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতের ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতের ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, সেবা খাতের ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতের ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, টেলিকম খাতের ১ দশমিক ২০ শতাংশ উল্লেখযোগ্য।

 

 

 

আরপি/এসআর-১০



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top