রাজশাহী বুধবার, ৯ই অক্টোবর ২০২৪, ২৫শে আশ্বিন ১৪৩১


লকডাউন আর বাড়ানো হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


প্রকাশিত:
২৮ জুলাই ২০২১ ২২:৩৭

আপডেট:
৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, লকডাউন আর বাড়ানো হবে না। আগামী ৫ আগস্টের পর থেকে দেশে কোনো লকডাউন থাকবে না। সারাদেশে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে টিকা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে লকডাউনের পক্ষে নই। কেবল লকডাউন দিয়েই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব না। এটা সংক্রমণ রোধের একটি উপাদান মাত্র। বুধবার (২৮ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে হলে সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরিধান করলে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে মানুষ ৭০ ভাগ নিরাপদ থাকবে। তাই জনসাধারণকে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিগগির এ নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠে থাকবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।’ মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তৎপরতায় দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে। সামাজিক রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় নেতা সহ জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রীর কথার সূত্র ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু বলেন, সীমিত লকডাউন, লকডাউন, কঠোর লকডাউন সব পরিস্থিতিতেই মন্ত্রী নিয়মিত অফিস করছেন। সংক্রমণ রোধে যা যা করা দরকার সবই তিনি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একদিনও বাসায় থাকছেন না। ঈদের ছুটিতেও তিনি কাজ করেছেন। ঈদ পরবর্তী লকডাউনে গত রোববার থেকে তিনি পুরোদমে অফিস করছেন। রোববার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সঙ্গে ছোট ছোট পৃথক বৈঠক করেছেন। সোমবার কেবিনেট এবং নিকারের বৈঠক করেছেন। এই দুটি বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অফিস করেছেন। মঙ্গলবার লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে কেবিনেটে হাইপ্রোফাইল সভা করেছেন। বুধবার অফিসে এসে গতানুগতিক কাজ করেছেন।

শরীফ মাহমুদ অপু আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ঈদের ১০ দিন আগে পরিবহণ শ্রমিক মালিকদের সঙ্গে মন্ত্রী বৈঠক করেছেন। বৈঠক করেছেন শিল্প কারখানার মালিকদের সঙ্গেও।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব হলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের। আর এসব সংস্থার অভিভাবক হলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা একদিন কাজ না করলে করোনার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমি নিয়মিত অফিস করছি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্যান্য কর্মকর্তারাও অফিস করছেন।

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top