রাজশাহী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


১৬ বছর পর এমপিও ঘোষণা হলেও তা বাতিলে তৎপর বহিষ্কৃত শিক্ষক


প্রকাশিত:
২৮ জুন ২০২০ ০২:০৬

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৩৫

মহাদেবপুর কৃষি ও কারিগরি কলেজ

নওগাঁর মহাদেবপুরে দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃত হওয়ার পর ‘মহাদেবপুর কৃষি ও কারিগরি কলেজের’ এমপিও বাতিলসহ প্রতিষ্ঠান বন্ধের নানামুখী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী করতে গিয়ে ১৫ দিন কারাবাস করতে হয়েছে ওই শিক্ষককে। হাজত বাসের পর আরো বেপরোয়া হয়ে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম অরুন কুমার মন্ডল। তিনি ধামুইরহাট এমএম ডিগ্রী কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান এর প্রভাষক এবং মহাদেবপুর কৃষি ও কারিগরি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকায় ২০০৩ সালে গড়ে তোলা হয় কলেজটি। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সহযোগিতায় গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানটি কারিগরি ও কৃষি শিক্ষা বিস্তারে মহাদেবপুর, মান্দা ও নওগাঁ সদরসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

কলেজটি প্রতিষ্ঠার দু’ছর পর পুর্ণাঙ্গ অবকাঠামো ও শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ সম্পন্ন করে। সে সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজের দায়িত্ব পালন করেন অরুন কুমার মন্ডল। একই সাথে জেলার ধামুইরহাট এমএম ডিগ্রী কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান এর প্রভাষক হিসেবে অরুন দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি নীতিমালা লঙ্ঘন করে দুটি কলেজ থেকে ভাতা গ্রহনসহ সব সুবিধা নিলেও অনিয়মিত ভাবে এ কলেজে উপস্থিত হন। এছাড়াও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে (অরুন) অভিযোগ দেয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে।

এরপর স্থানীয় প্রশাসন ও কারিগরি বোর্ড থেকে কয়েক দফা তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ফলে অরুন কুমার মন্ডলকে মহাদেবপুর কৃষি ও কারিগরি কলেজ থেকে বহিষ্কার আদেশ দেয় সংশ্লিষ্ট দফতর।

এ ঘটনার পর শিক্ষার মান উন্নয়সহ সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠন ও অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন ময়নুল ইসলাম। ৪৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে নিবীড় পরিচালনার মাধ্যমে কলেজের গুণগত শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনেন ময়নুল ইসলাম। ১৫ বছর ধরে শিক্ষক-কর্মচারীদের নানা দৈন্যতার সাথে লড়াই করে এগিয়ে নেওয়া এ কলেজটি ২০১৯ সালে ২৩ অক্টোবর এমপিও ভুক্তির ঘোষণা আসে।

কলেজের বেশ কজন শিক্ষক জানান, এমপিও ঘোষণার খবরে শিক্ষকদের ভেতর যখন নতুন উদ্দীপনা কাজ করে; তখন নতুন ষড়যন্ত্রের জাল নিয়ে আবারো এগিয়ে আসে ওই বহিষ্কৃত শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমপিও বাতিলসহ কলেজ বন্ধের দাবি তুলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেয় অরুন কুমার মন্ডল।

শিক্ষকরা আরও জানান, সম্পূর্ণ ব্যক্তি আক্রোশ আর বানোয়াট কিছু গল্প তৈরি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির জন্য ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করছেন অরুন।

শিক্ষক অরুন কুমারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বাবার জমির উপর গড়া প্রতিষ্ঠান কিন্তু তারা আমাকে কমিটিতে রাখে নাই। কলেজের নতুন কাঠামো করে সবকিছু পরিবর্তন করেছে। তাই আমি এর বিরোধীতা করে একাধিক মামলা দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে বর্তমান অধ্যক্ষ ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘অরুন কুমার একজন কলেজ শিক্ষক হয়ে একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ নানা কার্যক্রম চালাচ্ছে।

 

আরপি/ এএন-১



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top