রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


মহাদেবপুরে ভার্চুয়াল আদালতে যুবলীগ নেতা মাসুদের জামিন, আনন্দ শোভাযাত্রা


প্রকাশিত:
২৩ মে ২০২০ ০২:১৭

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৪

যুবলীগ নেতা মাসুদ জামিনে মুক্তি পেলে নেতাকর্মীরা ফুলের মালায় বরণ করে নেয়।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেলে এলাকায় অসংখ্য নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে সংবর্ধনা জানান। নওগাঁ অ্যাডভোকেট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি খোদাদদ খাঁন পিটু গত ২০ মে বুধবার ভার্চুয়াল আদালতে শুনানী করলে জেলা ও দায়রা জজ মাসুদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন কারাগারের প্রধান ফটক থেকে নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে মাসুদকে তার গ্রামের বাড়ী উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামে নিয়ে আসেন। গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতা তাকে একনজর দেখার জন্য ভীড় জমান। তিনি তার বাড়ী থেকে স্থানীয় মাদ্রাসা পর্যন্ত হেটে হেটে সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এসময় বৃষ্টি ও কাঁদা পানি উপেক্ষা করে স্থানীয় শত শত জনতা তাকে অভিনন্দন জানান।

সেখানে তিনি নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের জনগণের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে বলেন, তিনি সরকারকে ২০ লাখ টাকা রাজস্ব বেশী দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের গভীর ষড়যন্ত্রে তিনি মিথ্যা মামলায় আটক হয়েছেন। প্রতিপক্ষ সরকারকে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্নভাবে লুটে নিচ্ছে। তিনি এর বৈধ প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।

প্রাপ্ততথ্যে জানা যায়, মাসুদের বিরুদ্ধে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক রেজাউল করিম বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪, তাং ১৩/৪/২০২০, ধারা ৪০৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ দন্ডবিধি। এ মামলায় গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার গোপাল শাহা মার্কেট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তার গ্রেফতার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠে এবং নেতাকর্মীরা ‘মাসুদ মুক্তি পরিষদ’ গঠন করেন। অবিলম্বে তার মুক্তি চেয়ে এলাকায় পোষ্টারিংও করা হয়।

মামলায় মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে, তিনি মহাদেবপুর বালুমহালের দরপত্র দাখিলের সময় তাতে ঘষামাজা করেছেন। পত্নীতলা উপজেলার বালুমহালের জন্য নির্দিষ্ট দরপত্র কিনে তাতে “পত্নীতলা” শব্দটি ইরেজ করে সেখানে “মহাদেবপুর” শব্দ লিখে দাখিল করেছেন।

অ্যাডভোকেট খোদাদদ খাঁন পিটু বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে এমন একটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তির অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। এই প্রযুক্তি (ভার্চুয়াল আদালত) ব্যবহারের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে। এটি সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।’

এ বিষয়ে মাসুদের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নওগাঁ কোর্টে না গিয়ে অনলাইনে আদালত হতে আমার ভাইয়ের জামিন হওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। সরকারের এমন যুগোপযোগী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।’ 

 

আরপি/এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top