রাজশাহী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


নওগাঁয় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে ভুট্টা চাষে


প্রকাশিত:
২২ মার্চ ২০২১ ০২:২২

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০২:১৫

ছবি:দিগন্ত জুড়ে ভুট্টাগাছ ডানা মেলছে

বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত দেশের উত্তর জনপদের খাদ্য ভান্ডার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় সেচ খরচ বাঁচাতে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে কৃষক। চলতি মৌসুমে ব্যাপক বোরো ধান চাষের পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা, উপযুক্ত পরামর্শ ও সঠিক সময়ে বীজ বপন করায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিগন্ত জুড়ে ভুট্টাগাছ ডানা মেলছে।

স্বল্প খরচে অধিক লাভ ও অল্প পরিশ্রমের কারণে ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। বরেন্দ্র অঞ্চলে ক্রমাগত ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিমাণ কমতে থাকায় কৃষি বিভাগ কম পানি দিয়ে চাষাবাদ করা যায়, এমন ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে। দু-একবার সেঁচ দিয়ে ভুট্টা ঘরে তোলা যায়। ফলে কৃষকদের সেচ খরচ খুবই কম লাগে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাদেবপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে চলতি রবি (২০২০-২১) মৌসুমে ১২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে আবাদ হয়েছে ১৯০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৫ হেক্টর বেশি। ভুট্টা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে ১৫০ জন কৃষকের প্রত্যেককে উন্নত জাতের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) ও ১০ কেজি এমওপি (মিউরেট অফ পটাশ) সার সরবরাহ করেছে। ভরা মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে অন্যান্য ফসলের যেমন ক্ষতি হয়, ভুট্টার তেমন একটা ক্ষতি হয় না। প্রতি বিঘায় ২০-২২ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।

উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের ভুট্টাচাষী রহমান আলী বলেন, ‘ভুট্টা চাষে সেচ খরচ খুবই কম লাগে। আলু তুলে জমিতে ভুট্টা লাগালে খুব তাড়াতাড়ি হয়। গত বছর ভুট্টা উঠার সাথে সাথে আধাশুকনা ভুট্টা উঠান থেকে ভালো দামে বিক্রি করেছি।’ তিনি বলেন, ‘বোরো ধান চাষে ১২০ দিন পর্যন্ত নিবিড় পরিচর্যা করতে হয়। কিন্তু ভুট্টা চাষে তেমন পরিশ্রম করতে হয় না।’

মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, ‘উপজেলার প্রতিটি ব্লকে উপ সহকারী কৃষি অফিসাররা ভুট্টাচাষীদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। বরেন্দ্র অঞ্চলে অল্প পানি দিয়ে চাষাবাদ করা যায়, এমন ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ভুট্টা থেকে মাছ ও মুরগির খাদ্য উৎপাদন ও গাছগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘গত বছর ভুট্টাচাষীরা প্রথম দিকে ১৬-১৭ টাকা কেজি দরে ভুট্টা বিক্রি করে লাভবান হয়েছে। শেষ পর্যায়ে ২২-২৩ টাকা কেজি দামেও ভুট্টা বিক্রি হয়েছে।’

আরপি/ এসআই-৫



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top