৪০ মিনিটের ব্যবধানে উপসর্গ নিয়ে ২ রোগীর মৃত্যু

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ৪০ মিনিটের ব্যবধানে করোনা উপসর্গ নিয়ে একই উপজেলার ২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১২ জুন) দিবাগত রাত ৮টা ও ৮টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানা গেছে, ১১ জুন বেলা ১২টায় পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার লেবুখালী এলাকার কাশেম হাওলাদারের ছেলে ইউনুস (৬৫) করোনা উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১২ জুন) রাত ৮টায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে প্রেরণ করা হয়। যার রিপোর্ট প্রাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
অপরদিকে একই উপজেলার আন্দারিয়া এলাকায় আ. কাদেরের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫০) করোনা উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার (১২ জুন) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তবে তাকে ওয়ার্ডে নেয়ার পরপরই চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষার জন্য মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।
এরআগে সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে একই হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ধুলু সরকার নামে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ধুলু সরকার বরিশাল নগরের কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি শুক্রবার (১২ জুন) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
এছাড়া শুক্রবার (১২ জুন) সকাল ৭টায় সালমা (৩৫) নামে করোনায় আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাসিন্দা আক্তার হোসেনের স্ত্রী। তিনি গত মঙ্গবার দুপুর ১টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। ওই দিন তার নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হলে রির্পোট পজিটিভ আসে।
আরপি/ এমএএইচ-০৩
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: