রাজশাহী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


টানা দ্বিতীয় দিনে সর্বোচ্চ ৪২ জনের মৃত্যু


প্রকাশিত:
৮ জুন ২০২০ ২১:১১

আপডেট:
৮ জুন ২০২০ ২১:১২

 

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় টানা দ্বিতীয় দিনের মত সর্বোচ্চ আরও ৪২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৩০ জনে।একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৭৩৫ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮ হাজার ৫০৪ জনে।

সোমবার (৮ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৯৬১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৯৪৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো চার লাখ ১০ হাজার ৯৩১টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৭৩৫ জনের মধ্যে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮ হাজার ৫০৪ জনে।

আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪২ জন। আগেরদিনও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যা ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ৯৩০ জনের। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৫৭ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৪ হাজার ৫৬০ জন।

গত রোববারের (৭ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জন মারা গেছেন, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ১৩ হাজার ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৭৪৩ জনের মধ্যে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও মৃত্যু হয়েছে সমানসংখ্যক। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড আছে দুই হাজার ৯১১ জনের, যা গত ২ জুনের বুলেটিনে জানানো হয়।

সোমবারের বুলেটিনে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ। শনাক্ত রোগীদের মধ্যে পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ। রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বরাবরের মতোই ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজের সুরক্ষা নিজের হাতে।

করোনাভাইরাসের ছোবলে গোটা বিশ্ব এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা চার লাখ ছয় হাজারেরও বেশি। তবে প্রায় পৌনে ৩৫ লাখ রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top