রাজশাহী শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৬ই চৈত্র ১৪৩০


ভিআইপিদের জন্য আলাদা হাসপাতাল নয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী


প্রকাশিত:
২৪ এপ্রিল ২০২০ ০৬:২৮

আপডেট:
২৯ মার্চ ২০২৪ ০৬:০৭

ফাইল ছবি

করোনা চিকিৎসায় সবার জন্যই সমান সুযোগ-সুবিধা থাকবে এবং ভিআইপিদের জন্য আলাদা হাসপাতাল বানানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনলাইন বুলেটিনে করোনা বিষয়ক ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, সবার জন্য একই রকম সুবিধা থাকবে।

ভিআইপিদের জন্য হাসপাতাল সম্বন্ধে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। কারো জন্য আলাদা কিছু থাকবে না। তিনি নির্দিষ্ট কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, কেউ কোনো বিবৃতি দেয়ার আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল ছাড়া অন্যান্য হাসপাতালে স্বাভাবিক চিকিৎসা অব্যাহত আছে। দেশে সরকারি ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ৩০ দিনে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট চার হাজার ১৮০ জন আক্রান্ত হয়েছে। যেখানে গত মার্চের ২৩ তারিখে আক্রান্ত ছিল মাত্র ৬ জন। আক্রান্তদের ৮৫.২ শতাংশই ঢাকা শহরে। এর বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রয়েছে নারায়ণগঞ্জে, গাজীপুরে, কিশোরগঞ্জে এবং নরসিংদীতে।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরো ৪১৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৭ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর মোট সংখ্যা যথাক্রমে চার হাজার ১৮৬ এবং ১২৭ জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ৭ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ২ জন নারী এবং সকলেই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, আক্রান্তদের ৬৮ শতাংশই পুরুষ এবং ৩২ শতাংশ নারী। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা। এরা ২৪ শতাংশ। গত ২২ এপ্রিল পর্যন্ত যত মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এর ১০ শতাংশ ৬০ বছরে উর্ধ বয়সী। অপরদিকে ১৫ শতাংশ ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের কোঠায়, ১৮ শতাংশ ৩১ থেকে ৪০ বছরের কোঠায়, ২৪ শতাংশ ২১ থেকে ৩০ বছরের কোঠায়, ৮ শতাংশ ১১ থেকে ২০ বছরের কোঠায় এবং ১০ বছরের নিচের বয়সীরা ৩ শতাংশ।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশের ৫৫টি জেলায় করোনা ভাইরাস পৌঁছে গেছে। তবে রাজধানী ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তরা হলো- রাজারবাগ, মোহাম্মদপর, যাত্রাবাড়ী, বংশাল, মিটফোর্ড, উত্তরা, তেজগাঁও এবং মহাখালীতে।

 

আরপি/ এএন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top