রাজশাহী বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১১ই বৈশাখ ১৪৩১


রামেক বার্ন ইউনিটে দুর্ভোগ চরমে


প্রকাশিত:
২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:১১

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ০১:৫৯

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ধাপে ধাপে দুর্ভোগে পড়ার খবর নতুন নয়। তবে বার্ণ ইউনিটে এবার দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

দিন দিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। কিন্তু বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাসেবায় নেই কোনো উন্নতি। আর ওয়ার্ডের ভেতরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, অপর্যাপ্ত দুর্গন্ধময় টয়লেট যেন কর্তৃপক্ষের চোখেই পড়ে না। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা। রোগী দেখতে এসে অনেক স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

পুরো সপ্তাহ ধরে ইউনিটটি ঘুরে দেখা যায়, ৪৭ শয্যার বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩৭ জন রোগী। ডায়াবেটিক আর সার্জারি বা দগ্ধ হয়ে এ ইউনিটে তারা ভর্তি হয়েছেন। স্বল্প পরিসরে শুরু হওয়া এ ইউনিটটি এখন রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। নেই আলাদা কোনো অপারেশন থিয়েটার। রয়েছে একটিমাত্র মিনি অপারেশন থিয়েটার। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেগ পেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। তাই গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিটের আনুষঙ্গিক সুবিধা বাড়ানো জরুরী হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভর্তি আছে ৩৭ জন রোগী। তাজরুন খাতুন তার শিশু কাফিকে নিয়ে ভর্তি আছেন এখানে। তিনি জানান, ৩ বছরের শিশুটি ধানমাড়াই করা মেশিনে হাত দিয়ে দিয়েছিল। এতে অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, জনবল সংকট। একজন সহকারী অধ্যাপক, একজন রেজিস্ট্রার ও দুইজন সহকারী রেজিস্টারসহ মোট চারজন চিকিৎসক দিয়ে চালানো হচ্ছে বার্ণ ইউনিটের কার্যক্রম। নেই পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী।

বার্ন ও সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক আফরোজা নাজনীন বলেন, ‘এ ইউনিটে রোগীর চাপ অনেক বেশি। কতক সময় বেশি খারাপ অবস্থাতেও রোগী আাসে। কিছু জনবল না থাকায় অনেক সময় চিকিৎসা দিতে আমরা হিমশিম খেতে হয়।’

তবে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনদেরকেই দুষলেন বার্ণ ইউনিটের ইনচার্জ মনরমা খাতুন মোনোয়ারা। তিনি বলেন, ‘এ ইউনিটের রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। ড্রেনের মধ্যে ও টয়লেটে ব্যান্ডেজ ও কাপড় ফেলে দেয় রোগী ও স্বজনরা। এতে খুবই বাজে দুর্গন্ধ থাকে। এতে অনেক সমস্যা হয় রোগীদেরই।’

সবই কি রোগী আর স্বজনদের দোষ এমন প্রশ্নে স্বর পাল্টালেন তিনি।

মনরমা খাতুন মোনোয়ারা বলেন, ‘এখানে তেমন কোনো পরিছন্নতাকর্মী নেই। এতে সবাই ভোগান্তিতে পড়েন। একজন সহকারী অধ্যাপক, একজন রেজিস্ট্রার ও দুইজন সহকারী রেজিস্টারসহ মোট চারজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে বার্ণ ইউনিটের কার্যক্রম। নতুন ইউনিট চালু থেকেই এখানে রোগীর চাপ বেশি। এত কিছুর পরও রোগীদের সাধ্যমত সেবা দিতে হচ্ছে। এই ইউনিটে একটি ইমারজেন্সি বড় অপারেশন থিয়েটার দরকার।’

 

আরপি/আআ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top