রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


ফার্মাসিস্ট দিয়েই চলছে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসাসেবা


প্রকাশিত:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:৫২

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ০৭:৫৩

ছবি: চিকিৎসাসেবা

রাজশাহীর চারঘাটের ইউসুফপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও ফার্মাসিস্ট পদ থাকলেও শুধু একজন ফার্মাসিস্ট দিয়েই চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। মোস্তাকিন হোসেন নামের ফার্মাসিস্ট প্রায় তিন বছর ধরে সব দায়িত্ব একাই পালন করছেন। করোনার ভয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী কমে যাওয়ায় ইউসুফপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রসূতিসেবা নিতে আসা রোগীরা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এর পরেও প্রতিদিন ৪০-৫০ জন সাধারণ রোগীকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মোস্তাকিন হোসেনকে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্র জানায়, ইউসুফপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা গোলাম মাসুদ তিন বছর আগে বদলি হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় যোগ দেন। এর এক মাস পর পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক কামরুন নাহারও অবসরে যান। আয়া পদে আলেয়া ইসলাম নামে একজন কর্মরত আছেন। ফলে গত তিন বছর ধরে ফার্মাসিস্ট মোস্তাকিন হোসেন একাই সব দায়িত্ব পালন করছেন।

ফার্মাসিস্ট মোস্তাকিন হোসেন বলেন, আইন অনুসারে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ফার্মাসিস্ট রোগীকে ওষুধ সরবরাহ করবেন। রোগীকে ওষুধ খাওয়ার নিয়ম বলে দেবেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বরাদ্দকৃত ওষুধ তাঁর হেফাজতে সংরক্ষিত থাকবে। রোগী দেখা বা রোগীর ব্যবস্থাপত্র লেখা তাঁর এখতিয়ারবহির্ভূত। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সব দায়িত্ব পালন করা তাঁর কাজ নয়। অথচ তাঁকে একসঙ্গে রোগীও দেখতে হচ্ছে, আলমারি খুলে ওষুধ দেওয়াসহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সব দায়িত্ব তাঁকে পালন করতে হচ্ছে। তিনি কোনো ছুটিও নিতে পারছেন না। প্রতিদিন তাঁকে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী সামাল দিতে হচ্ছে।

দেখা যায়, রোগীর সমস্যার কথা শুনে ওষুধ দিচ্ছেন মোস্তাকিন। তবে কোনো ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন না। মুখে মুখে ওষুধ খাওয়ার নিয়ম বলে দিচ্ছেন। সমস্যাগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখছেন।

মোস্তাকিন হোসেন বলেন, মুখে নিয়ম বলে দেওয়ায় অনেক বয়স্ক রোগী বাড়িতে গিয়ে ওষুধ খাওয়ার নিয়ম ভুলে যান। অনেকেই পরদিন আবার নিয়ম জানতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন। আইনত ফার্মাসিস্ট ব্যবস্থাপত্র লিখতে পারেন না।

এ বিষয়ে ইউসুফপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম রতন বলেন, জনবলের সংকটে ইউসুফপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ধুঁকছে। শুধু ফার্মাসিস্ট ছাড়া কোনো কর্মকর্তা নেই। চিকিৎসা না পেয়ে লোকজন ফেরত যাচ্ছে। প্রসূতি মায়েদের সমস্যা হলে ১৫ কিলোমিটার দূরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফয়সাল ফেরদৌস বলেন, ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সাময়িক সমস্যা চলছে। তবে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। শিগগিরই সেখানে একজন কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

 

আরপি/এসআর-০৬



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top