রাজশাহী রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা পেছাল


প্রকাশিত:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:১৫

আপডেট:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৩৬

এমবিবিএস ও বিডিএস (২০১৯-২০) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুসারে ৪ অক্টোবরের পরিবর্তে আগামী ১১ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। দুর্গাপূজার কারণে এ পরীক্ষা পেছাচ্ছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


সূত্র জানায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় বলা হয়, ৪ অক্টোবর দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠী অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে পরীক্ষার তারিখ পেছানো হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নিয়মানুযায়ী প্রতিবছর শুক্রবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সে বিষয়টি মাথায় রেখে পরবর্তী শুক্রবার ১১ অক্টোবর পরীক্ষার দিন ধার্য হয়েছে।

তবে সেদিন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়েও কিছুটা সংশয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ৪ অক্টোবর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে ১১ অক্টোবর পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরীক্ষার হল পাওয়া যাওয়া নিয়ে সমস্যা না হলে ওইদিনই ভর্তি পরীক্ষা হবে। দেশের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু ওইদিন যদি সবচেয়ে বড় পরীক্ষা কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার হলগুলো পাওয়া না যায় তাহলে পরীক্ষার তারিখ আবার পেছাতে পারে। সেক্ষেত্রে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে সরকারের ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারণী মহল সজাগ রয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এবং স্বচ্ছতা, সতর্কতা এবং নিরপেক্ষতার নিশ্চয়তার জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি পর্যায়ের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত ২৭ আগস্ট থেকে অনলাইনে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এ আবেদনপত্র গ্রহণ। এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার আবেদন পড়েছে। বর্তমানে সরকারি ৩৬টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৬৮টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৬৬টি সাধারণ, ৮২টি মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ২০টি উপজাতি কোটা রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি ৬৯টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৬ হাজার ২৩১টি। সার্ক ও নন-সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ১ হাজার ৭৮৩টি।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top