রাজশাহী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


রাজশাহীতে স্কুলের পরিবর্তে মাদরাসার প্রশ্নে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা!


প্রকাশিত:
১৬ মার্চ ২০২৪ ১১:৪৯

আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৪ ১৫:৩৭

ফাইল ছবি

রাজশাহীতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এক পরীক্ষা কেন্দ্রে স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষার্থীদের মাদরাসার প্রশ্ন সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাজশাহী নগরীর কোর্ট একাডেমি কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে কিছুক্ষণ পর আসল প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। তবে এনিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় পরীক্ষার্থীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় রাজশাহী কোর্ট একাডেমি কেন্দ্রের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় জেনারেল প্রশ্নের পরিবর্তে মাদরাসার প্রশ্ন দেওয়া হয়। ভুল বুঝতে পেরে পরীক্ষা শুরুর প্রায় ১৫ মিনিট পর সঠিক প্রশ্ন বিতরণ করা হয়। তবে আগের ভুল প্রশ্নের সেট পূরণ করায় আসল প্রশ্নের সেট মেলাতে গিয়ে এক প্রশ্নে কয়েকজন মিলেও পরীক্ষা দিতে হয়েছে। অনেকটা গ্রুপ আকারে তারা পরীক্ষা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সজিবুল ইসলাম নামের ওই কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থী বলেন, রাজশাহী কোর্ট একাডেমি কেন্দ্রের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভুল করে স্কুল পর্যায়ের পরিবর্তে স্কুল পর্যায়-২ (মাদরাসা) এর প্রশ্ন দিয়েছিল। ভুল প্রশ্ন পেয়েও উত্তরপত্রের প্রশ্ন কোড পূরণ করে উত্তর দাগানোও শুরু করেন অনেকে। প্রায় ১৫ মিনিট পর আসল প্রশ্ন নিয়ে আসেন স্যাররা। তড়িঘড়ি করে প্রশ্ন চেঞ্জ করে আসল প্রশ্ন বিতরণ করা হয়। সেক্ষেত্রে আগের পূরণ করা প্রশ্নের সেট নিয়ে অনেকে বিড়ম্বনার শিকার হন। তখন রুমের দায়িত্বে থাকা স্যাররা যার যে সেট পূরণ করা ছিল তাকে সেই সেট অনুযায়ী প্রশ্ন মিলিয়ে দেন। শেষে এক প্রশ্নে কয়েকজন মিলে গ্রুপ করেও পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে। আর সময়ের ক্ষতিপূরণ হিসেবে পুরো কেন্দ্রে অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, এটাতো কোনো পরীক্ষার সিস্টেম হতে পারে না। কয়েকজনের গাফিলতির কারণে কেন আমাদের এই ভোগান্তি পোহাতে হবে? যাদের গাফিলতির কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত বলেও মনে করেন এই চাকরি প্রত্যাশী।

এ বিষয়ে রাজশাহী কোর্ট একাডেমির প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র প্রধান সফিকুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ব্যস্ত আছি, এখন কথা বলা যাবে না’ বলে ফোনটি কেটে দেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, কোথাও কোনো ভুল প্রশ্ন বিতরণের তথ্য আমার কাছে নেই। আমার কাছে কেউ অভিযোগও করেননি। তবে যদি এমনটি হয় বা কেউ অভিযোগ করে তাহলে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top