রাজশাহী বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


বাংলাদেশকে ১.২৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক


প্রকাশিত:
২৮ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৪৯

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৫২

ফাইল ছবি

উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ গঠন এবং সবুজ ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশকে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ডলারপ্রতি ১০৭ টাকা হিসাবে সংস্থাটির অনুমোদন দেওয়া এই ঋণের দাঁড়ায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় এই ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুমোদিত ঋণের মধ্যে কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, উদ্যোক্তা তৈরি এবং জলবায়ু সহনশীলতা তৈরিতে সহায়তা করবে।

পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প বাংলাদেশকে সবুজ এবং জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে উত্তরণে সহায়তা করবে।

এছাড়া ২৫ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের টেকসই উত্তরণে সহায়তা করবে, এই খাতকে আরও গতিশীল করবে, দূষণ কমাবে, সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা বাড়াবে এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।

অনুমোদিত এই তিন প্রকল্প মিলিয়ে বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে।

বিশ্ব ব্যাংক বলছে, তাদের ‘কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক’ তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনার (২০২১-২০৪১) সঙ্গে মিল রেখে, যা উচ্চ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের বাধাগুলো চিহ্নিত করে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।

‘একটি বৈচিত্র্যময় এবং প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি খাত গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এই ফ্রেমওয়ার্ক সহায়ক হবে, যা আরও কর্মসংস্থান এবং ভালো কাজের সুযোগ তৈরি করবে, সবার জন্য সমান সুযোগের পথ খুলতে আর্থ-সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নেবে এবং জলবায়ু ও পরিবেশগত দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, এই কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কটি বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচ দশকের শক্তিশালী অংশীদারত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। যেহেতু বাংলাদেশ আরও সমৃদ্ধ হওয়ার লক্ষ্য রাখে, উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের চাহিদা পূরণের জন্য আরও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং নীতির প্রয়োজন হবে।

 

 

 

আরপি/এসআর



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top