রাজশাহী মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২রা আশ্বিন ১৪৩১


অস্থিরতা কাটছে না রাজশাহীর কাঁচাবাজারে 


প্রকাশিত:
১৮ আগস্ট ২০২৪ ২২:২৩

আপডেট:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:০১

ছবি: রাজশাহী পোস্ট
সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে রাজশাহীর কাঁচাবাজারে সরবরাহ কমের অজুহাতে প্রায় সব রকমের ভোগ্য পণ্যের দাম বাড়ান ব্যবসায়ীরা। আওয়ামী সরকার শেখ হাসিনার পতনের পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনিটরিংয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরে নিত্যপণ্যের বাজারে। এতে ক্রেতাদের মাঝে আশার সঞ্চার হলেও আবারও অস্থিরতা শুরু হয়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। 
 
রোববার নগরীর সাহেব বাজার, নওদাপাড়া, শালবাগান, নিউমার্কেট, শিরোইল, খড়খড়ি বাইপাসসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির বাজার আবারও লাগামহীন হয়ে পড়েছে। চার-পাঁচ দিনের ব্যবধানে অনেক সবজির দামই দ্বিগুণ হয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রুই ও কাতলা মাছের দাম ৫০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির দাম ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা, পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা, আলুর দাম বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ১১০ টাকা। এছাড়াও পেঁপে ৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, কচু ৫ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা, পটল ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, করলা ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। 
 
এদিকে একদিনের ব্যবধানে রাজশাহীতে ডিমের দাম প্রতি হালিতে বেড়েছে ৪ টাকা। বাজারে লাল ডিম ৪৮ টাকা থেকে বেড়ে ৫২ টাকা এবং সাদা ডিম ৪৪ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারের এমন লাগামহীনতায় হতাশ ভোক্তারা।  তাদের অভিযোগ, নিয়মিত বাজার তদারকি ও মূল্য তালিকা না থাকায় মাত্রাতিরিক্ত দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা।  তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এলসি না থাকায় আমদানি করতে না পারায় পণ্যের দাম বেড়েছে। 
 
নগরীর শালবাগান কাঁচাবাজারে আসা সোহাগ আলী জানান, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় কাঁচা মরিচের দাম ছিল ২০০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে শিক্ষার্থীরা বাজার মনিটরিং শুরু করলে দাম কমেছে ২০-২৫ টাকা। কিন্তু আজ বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে। এটা তো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি সবজির দাম ৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানান তিনি।
 
তবে খড়খড়ি বাইপাস কাঁচাবাজারের পাইকারি মরিচ বিক্রেতা শুকুরউদ্দিন মৃধা জানান, রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ থেকে চাষিরা কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে আসেন। রাজশাহীর কৃষকরাও এ উপলক্ষে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে কাঁচা মরিচ আসছে না। এছাড়াও এলসি করতে না পারায় মরিচ আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে দাম বাড়তি।
 
এদিকে নগরীর নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, শুধু কাঁচা মরিচ নয়, আমদানি কমে যাওয়ায় প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে।  সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে পারে। তবে কবে নাগাদ কমবে সেটা বলা যাচ্ছে না। 
 
 
 
আরপি/এসআর


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top