রাজশাহী শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


শুল্ক কাঠামোর আমূল সংস্কার চায় ডিসিসিআই


প্রকাশিত:
২৭ অক্টোবর ২০২২ ০৫:১৩

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:১০

এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের রাজস্ব ও শুল্ক কাঠামোর আমূল সংস্কার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান। সেই সঙ্গে শুল্ক কাঠামোর নীতিমালা সহজীকরণ, দক্ষতা উন্নয়ন, বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে পিটিএ ও এফটিএ স্বাক্ষরের পাশাপাশি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংস্থাসমূহে নিজেদের অন্তর্ভুক্তি একান্ত অপরিহার্য বলেও মত প্রকাশ করেছেন তিনি।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রতিযোগিতামূলক শুল্ক কাঠামো: প্রেক্ষিত স্বল্পোন্নত দেশের উত্তরণ’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা হারাবে এবং দেশে উৎপাদিত পণ্য বহির্বিশ্বে রফতানির ক্ষেত্রে প্রায় ৮-১৬ শতাংশ শুল্ক প্রদান করতে হবে, যা আমাদের রফতানির সক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করবে।

স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে চলমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কাঠামোতে উল্লেখজনক হারে পরিবর্তন নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর পাশাপাশি আমাদের স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পণ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে ভ্যালু এডিশন নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই।

এছাড়াও সার্বিক অবস্থা বিবেচনায়, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা, দেশের রাজস্ব ও শুল্ক কাঠামোর আমূল সংস্কার ও অটোমেশন নিশ্চিতকরণ, নীতিমালা সহজীকরণ, দ্রুততম সময়ে ও হয়রানিমুক্তভাবে উদ্যোক্তাদের সরকারি সেবা প্রাপ্তি, শ্রমিক ও উদ্যোক্তাদের দক্ষতা এবং সক্ষমতা উন্নয়ন, বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে পিটিএ এবং এফটিএ স্বাক্ষরের পাশাপাশি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংস্থায় নিজেদের অন্তর্ভুক্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ একান্ত অপরিহার্য বলেও মনে করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

ওয়ার্কশপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে মো. মশিউল ইসলাম বলেন, গত অর্থবছর বাংলাদেশ ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে এবং সর্বোচ্চ রফতানিকৃত ২০টি পণ্যের মধ্যে ১৮টিতেই শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা ভোগ করেছে। এলডিসি উত্তরণের পর আমাদের উদ্যোক্তারা এই সুবিধা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন, এমতাবস্থায় বৈশ্বিক বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেসরকারি খাতকে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

এ লক্ষ্যে বাণিজ্য সহযোগী দেশসমূহের সঙ্গে দ্রুততম সময়ে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর (এফটিএ) ছাড়াও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ব্লকগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ একান্ত অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও স্থানীয় শিল্পায়নকে বেগবান করতে দেশের সার্বিক রাজস্ব এবং শুল্ক কাঠামোর আমূল সংস্কার ও অটোমেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের ওপর জোর দেন তিনি। এর পাশাপাশি পরিবর্তিত বৈশ্বিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশে ‘ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি’ প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে জানিয়ে রফতানিকৃত পণ্যের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে ভ্যালু অডিশনের ওপর আরও বেশি হারে মনোনিবেশের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (ডব্লিউটিও সেল, পরিচালক-৩) ফারহানা আইরিছ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (শুল্ক রেয়াত ও প্রকল্প সুবিধা) ড. মো. নিয়োমুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরপি/ এসএইচ

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top