রাজশাহী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে মিলছে ১৫ টাকা কেজি চাল


প্রকাশিত:
২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৪:৪৮

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৫৭

খাদ্যবান্ধব ও ওএমএস কর্মসূচির উদ্বোধন

রাজশাহীতে মাত্র ১৫ টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সারা দেশের ন্যায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এ চাল পেয়ে খুশি রাজশাহীবাসী। এ ছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি প্রান্তিক পরিবারকে প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে এবং নওহাটা পৌরসভায় খাদ্যবান্ধব ও ওএমএস কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। কর্মসূচির ঘোষণা করেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি বা মানবতার জননী হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট্ট ছোট্ট উদ্যোগের মাধ্যমে সারা বিশ্বে নিজের অবস্থানকে তুলে ধরেছেন। সারা বিশ্ব যখন খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত তখন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী নেতৃত্বে সেটা নেই। কেউ কেউ বলে, দেশে খাদ্যের মজুদ নাই। এটা ঠিক না। স্মরণকালের সর্বোচ্চ মজুদ আছে। বিশ্ব সংকট কাজে লাগিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সুবিধা লুটতে চায়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সালমা মমতাজ। তিনি বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ২০১৬ সাল থেকে চালু রয়েছে। সারা বিশ্বে দূর্যোগময় পরিস্থিতিতে মানবিক প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচির আওতায় দেশে ৫০ লক্ষ মানুষকে ১৫ টাকা কেজি দরে ভর্তুকির মাধ্যমে চাল দিচ্ছেন। আপনাদের চিন্তার কোন কারণ নেই। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অনেক ভালো আছে। খাদ্য গুদামে চাল ও আটা মজুদ আছে ১৯ লক্ষ মেট্রিক টন। যা দিয়ে আমরা আরও কিছু ভালো থাকতে পারবো। মজুদ নিয়ে আমাদের কোন ঘাটতি নেই।

তিনি আরও বলেন, আমি একটি গবেষণায় দেখেছি সরকারের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে কম দামে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩৩ জন নারী ভোক্তা। নারীরা এই কার্যক্রমের সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার করে থাকেন। এখানে খাবারে সাশ্রয় করে তারা বাচ্চাদের শিক্ষায় কাজে লাগায়। এ সময় তিনি শিক্ষার হার ৭০% থেকে শতভাগে উত্তরণ করে আত্ম নির্ভরশীল জাতি গঠনে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, সারাদেশের ৮১১টি কেন্দ্রে ডিলারের মাধ্যমে চলমান ওএমএস কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করে সরকার ২ হাজার ৩৬৩টি কেন্দ্রে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন। এরমধ্যে সব কেন্দ্রেই চাল বিক্রি করা হবে। আর আটা বিক্রি হবে ৪০৩টি কেন্দ্রে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে মোট ৫০ লাখ ১০ হাজার ৫০৯টি পরিবারকে প্রতি মাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এ কার্যক্রম সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, মার্চ, এপ্রিল-এ ৫ মাস পরিচালিত হয়। সারাদেশে ডিলার সংখ্যা ১০ হাজার ১১০ জন। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরা ওএমএস কেন্দ্রে এসে আলাদা লাইনে দাঁড়িয়ে চাল নিতে পারবেন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন যে টিসিবি কার্ডধারীরা ওএমএসের মতো ন্যায্যমূল্যে ১০ কেজি হিসেবে চাল পাবেন। সেই প্রেক্ষিতে ওএমএস কার্যক্রমে টিসিবি কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল দেওয়া হবে। এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা বাজারে চাল কিনতে না গেলে স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম কমে আসবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top