রিকশাচালক কাদের হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার তিন
-2021-11-07-16-38-54.jpeg)
রাজশাহী নগরীর ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক আবদুল কাদের (৫৫) খুনের মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে কাদেরের রিকশার বিভিন্ন পার্টস উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক রোববার দুপুরে তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মিয়াপাড়ার মো. আল-আমিন (২১), বাঘা উপজেলার মালি আনদাহো গ্রামের মো. জনি (২১) ও নাটোরের লালপুর উপজেলার মোহরকয়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম (৩৫)। ওই খুনের সঙ্গে কাউসার (২০) নামে আরেক তরুণের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। কাউসার এখনও পলাতক।
গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে রিকশাচালক কাদেরের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। তার বাড়ি নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায়। সেদিন তার রিকশাটি পাওয়া যায়নি। মূলত রিকশাটি ছিনতাই করতেই তাকে খুন করা হয়।
আরএমপি কমিশনার জানান, আল-আমিন ও কাউসার কিছু দিন আগে অটোরিকশা চুরির সময় ধরা পড়েন। তখন তাদের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই জরিমানার টাকা শোধ করার জন্য তাঁরা একটি রিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। ঘটনার রাতে জনি, আল-আমিন ও কাউসার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় আবদুল কাদেরের রিকশায় ওঠে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরার পর সাগরপাড়ার নির্জন এলাকায় কাদেরের গলায় ছুরি চালিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁর রিকশাটি নিয়ে গিয়ে তারা লালপুরে আরিফুল ইসলামের দোকানে ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এই রিকশা কেনার অপরাধে আরিফুলকেও গ্রেফতার করা হয়।
কমিশনার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিন জানিয়েছে, পলাতক কাউসার তার চাচাতো ভাই। ঘটনার রাতে কাউসার তাকে ডিসিপ্লিন-২ নামের একটি ওষুধ খাওয়ায়। এই ওষুধ খাওয়ার পর সে নিজের হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে খুন করেছে।
তিনি জানান, ঘটনার সময়ের কোন সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি। তবে খুনের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ শহরজুড়ে লাগানো সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছে। আর তাতেই পাওয়া গেছে কাদেরের রিকশায় তিনজন ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য। এর মাধ্যমেই তিনজনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর শনিবার চারঘাট থেকে চাকুসহ আল-আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অন্য দুজনকে।
আরএমপি কমিশনার আরও জানান, গ্রেফতারকৃত তিনজনকে রোববারই আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। তাঁরা আরও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে কি না তা রিমান্ডে নিয়ে জানার চেষ্টা করা হবে। মামলার পলাতক আসামি কাউসারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আরপি/এসআর-০৬
বিষয়: গ্রেফতার আরএমপি রহস্য উদঘাটন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: