রাজশাহী রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফের দাবিতে ছাত্রমৈত্রীর সমাবেশ


প্রকাশিত:
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:১০

আপডেট:
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:১৯

ছবি: সমাবেশ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন ও সেশন ফি মওকুফসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী। শনিবার বেলা ১১টায় ছাত্রমৈত্রীর রাজশাহী জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে নগরীর জিরোপয়েন্ট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও জিরোপয়েন্টে এসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

পাঁচ দফা দাবির মধ্যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়সহ হল ও কলেজগুলোর হোস্টেল খুলে দিয়ে ক্লাস পরীক্ষা গ্রহণ করা, শতভাগ শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা, করোনাকালীন সময়ে ন্যূনতম ৫০% বেতন ও সেশন ফি মওকুফ করা, সকল শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরিতে আবেদনের বয়স বৃদ্ধি করা এবং ১৭ সেপ্টেম্বরকে শিক্ষা দিবসকে জাতীয় ভাবে দিবস ঘোষণা করা।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর রাজশাহী মহানগর সভাপতি ওহিদুর রহমান ওহি। মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু।

তিনি বলেন, দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে স্কুল-কলেজসহ সকল শিক্ষার্থীর টিকা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় না আনা হয়, এক ধরনের বিপর্যয়ের আশক্সকা থেকে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল খুলে দেয়ার পর একদিনে আড়াই লাখ শিশু আক্রান্ত হয়েছে। এর আগে ভারতে স্কুলে খুলে দেয়ার পর শিশুরা সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

ছাত্রমৈত্রীর নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন ও সেশন ফি নেয়া হচ্ছে। যা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বেতন ও সেশন মওকুফ করে শতকরা ৬০ ভাগে নিয়ে আসতে হবে। এসময় ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করারও দাবি জানানো হয়।

দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের হোস্টেল খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে ছাত্রমৈত্রীর নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও হলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। রাজশাহীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হল বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের মেসে উঠতে হচ্ছে। মেসে উঠে শিক্ষার্থীদের হয়রানিও করছে মেস মালিকরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল খুলে দেয়ার দাবি জানানো হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের চাকরীর দরখাস্তের বিনামূল্যে এবং চাকরীতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানান বক্তারা।

ছাত্রমৈত্রীর নগর সহ-সভাপতি সাকিবুল হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির নগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নাজমুল করিম অপু, সদস্য অসিত পাল, ছাত্রমৈত্রীর নগর সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় সরকার, স্কুল বিষয় সম্পাদক ঋতু সরকার, বোয়ালিয়া থানার সভাপতি অমিত সরকার, রাজপাড়া থানার সভাপতি সাগর, সাধারণ সম্পাদক ইফতিক হাসান, কাশিয়াডাঙ্গা থানার সভাপতি ইয়াসিন ইসলাম রতন, দূর্জয়, নাহিদ, কৃষ্ণান, সোহান প্রমুখ।

 

 

 

আরপি/এসআর-০৪



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

Top