রাজশাহীতে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চার ছিনতাইকারী গ্রেফতার

রাজশাহীতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
তিনি জানান, ক্লুলেসহীন একটি ঘটনার পরে শুধুমাত্র তথ্য-প্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছিনতাই হওয়া প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং কিছু ওষুধ উদ্ধারও করা হয়েছে। বাকিগুলোও উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরএমপির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২১মার্চ দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের ওষুধ ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান (২৮) প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার ওষুধ কার্টুনে করে রাজশাহী মহানগর থেকে অটোরিকশাযেগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাচ্ছিলেন।
এসময় সিটি বাইপাসের লক্ষীপুর ভাটাপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন শিশু হাসপাতালের কাছে পৌঁছালে অটোরিকশা চালক জানায়, তার অটোরিকশাটি নষ্ট হয়ে গেছে। একটু ধাক্কা দিতে হবে।
মেহেদী হাসান অটোরিক্সা থেকে নেমে ধাক্কা দিতে থাকলে অজ্ঞাত ২-৩ জন ব্যক্তি তাকে ধাক্কা দিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা পকেট থেকে ধারালো চাকু বের করে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন। এরই ফাঁকে অটোরিকশা চালক ওষুধগুলো নিয়ে সটকে পড়েন। এ ঘটনায় ওইদিনই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন মেহেদী হাসান।
রাজশাহী সাইবার ইউনিটের প্রধান ও সহকারী পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরী জানান, এই মামলাটি ছিলো সম্পুর্ণ ক্লুলেশহীন। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং মহানগরীতে বসানো সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথমে অটোরিকশা চালককে শনাক্ত করা হয়। এরপর তিন ছিনতাইকারীকে চিহ্নিত করা হয়। পরবর্তীতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অপর তিন ছিনতাইকারীকেও গ্রেফতার করে মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- অটোরিকশা চালক ও মহানগরীর বহরমপুর এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম (৩৪), তার সহযোগী ও ছিনতাকারী বড়বনগ্রাম এলাকার কার্তিক চন্দ্র সাহা (৪৫), নাটোর সদরের হুগলবাড়িয়া এলাকার শিমুল হোসেন (৩০) ও পাইকপাড়া এলাকার সমীর উদ্দিন (৩৮)।
গ্রেফতারের পর ছিনতাই হওয়া ওষুধের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার টাকার ওষুধও উদ্ধার করা হয়। বাকিগুলো ওই ছিনতাইকারীরা বিক্রি করে দেয়। তবে ওই ওষুধগুলোও উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরপি / এমবি-৩
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: