রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের দু’দিনেও ধরাছোয়ার বাইরে দুর্বৃত্তরা

রাজশাহীর পুঠিয়ায় একটি স্কুলের অফিসে ঢুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও অফিসের অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
গত সোমবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাংচুরের এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার দু'দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। জানা গেছে, জেলার পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর থানাধীন চকধাদাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনের সাথে একই উপজেলার ঠান্ডাবাড়ি এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের একটি কড়ই গাছের ডাল ঝুলে ছিল।
গাছটির গোড়ালি তার জমিতে থাকলেও বড় বড় ডালগুলো বিদ্যালয়ের ভবনের দিকে হেলে পড়ায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আব্দুর রহিমের আট ছেলেকে জানায়। তবে তারা ব্যবস্থা না নেয়ায় এর প্রতিকার চেয়ে বেলপুকুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এরপরও বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় গত সোমবার (২২ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে গাছটি কেটে ফেলেন। স্থানীয়রা জানান, গাছ কেটে ফেলা খবর শুনে মৃত আব্দুর রহিমের বড় ছেলে আতাউর রহমানের নেতৃত্বে তারা আট ভাই অস্ত্র ও লাঠিশোটা নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে অফিস কক্ষে ঢুকে পড়েন এবং অফিসে টাঙ্গানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও অফিসের অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করেন।
এ সময় প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার চেষ্টা চালালে তিনি সেখান থেকে আড়াল হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান। কয়েক ঘন্টা ভাংচুর তান্ডব চালানোর পর পালিয়ে যান তারা।
চকধাদাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আকরাম আলী বলেন, আতাউর রহমান ও জিয়াউর রহমান জিয়াসহ আরো বেশ কয়েকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে অফিসে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা বঙ্গবন্ধুর ছবির ওপর ইট নিক্ষেপ করে এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে।
ঘটনার সময় আমি কোনোমতে আত্মরক্ষা করে বেলপুকুর থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানাই। এ সময় লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া হলে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে বলে আশ^স্ত করে। তবে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
ভাংচুরকারীরা সবাই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আরএমপির বেলপুকুর থানার ওসি আলমগির হোসেন জানান, আটজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। বুধবার (২৪ মার্চ) সকালে বেলপুকুর থানার এক পুলিশ অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরপি / আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: