রামেক হাসপাতালে আনসার সদস্যের হামলায় জখম রোগীর পিতা

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় লামিয়া খাতুন নামে দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদ করায় ওই শিশুর পিতা মো. লিটন ও তার বন্ধু সাগরকে পিটিয়ে আহত করেছে হাসপাতালে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা।
এ ঘটনায় পুলিশের শরনাপন্ন হলে তারা কোনো কর্ণপাত না করে চিকিৎসকদের পক্ষ নেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে শিশু লামিয়ার দাফন শেষে এসব অভিযোগ করেছেন ওই শিশুর বাবা মো. লিটন।
তিনি নগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। লিটন জানান, গতকাল শুক্রবার (১২ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে তার শিশু কন্যা লামিয়াকে বুকের ব্যথা ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে রামেক হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
ওয়ার্ডে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এক ঘণ্টা পরপর চিকিৎসককে ডাকতে বলেন কর্তব্যরত নার্সরা। কিন্তু রাত ১০ টার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসককে তাদেরকে ডাকতে গেলে তারা দুর্ব্যবহার করেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে কক্ষ থেকে বের করে দেন।
এদিকে নার্সরাও দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করেন। ফলে অবহেলায় মারা যায় তার শিশু লামিয়া।
লিটনের অভিযোগ, শিশু কন্যার মৃত্যুর ঘটনায় তিনি ভেঙ্গে পড়েন এবং পুনরায় চিকিৎসকের কক্ষে গেলে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা তাকে বেদম প্রহার করেন।
এ সময় তার বন্ধু সাগর এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। নিরুপায় হয়ে রামেক হাসপাতাল পুলিশের শরনাপন্ন হলে তারাও চিকিৎসকদের পক্ষ নিয়ে অভিযোগ আমলে না নিয়ে তাড়িয়ে দেন তাকে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আনসারদের মারধরে লিটন ও তার বন্ধু সাগর আহত হলে সাগরকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আর লিটন আহত অবস্থাতেই মৃত শিশু কন্যাকে বাড়িতে নিয়ে যান। তবে শনিবার বিকেলে তার বন্ধু সাগরকে ছুটি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে রামেক হাসপতাল পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। ওই ঘটনায় জড়িত দুই আনসার সদস্যকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আরপি / আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: